প্রতিবেদন : কুকথা আর অসভ্যতার সীমা ছাড়াচ্ছে বিজেপি। শালীনতার তোয়াক্কা না করে, ক্রমশ রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা গ্রাস করছে বিজেপিকে। যে রোগটা দিলীপ ঘোষ, গদ্দার অধিকারীদের পেটেন্ট ছিল, এবার সেই জুতোতে পা গলালেন বিচারকাজ ছেড়ে সদ্য রাজনীতিতে পা দেওয়া অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখোশ ছেড়ে বেরিয়ে এসে বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বেজে গিয়েছে। ভাবা যায়! দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী, পাঁচবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাতবারের সাংসদ, তিনবারের বিধায়ক সম্পর্কে এই মন্তব্য! তাঁর মৃত্যু কামনা? প্রকাশ্য সভায়? কোন রাজনৈতিক সংস্কৃতি উপহার দিচ্ছেন সদ্য রাজনীতিতে পা দেওয়া অভিজিৎ?
বিচারপতির মন্তব্যের পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। পালটা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা। কারা রাজনীতিতে এসেছেন? এদেরকে আয়না দেখাবেন বাংলার মানুষ। অতি দ্রুত প্রাক্তন বিচারপতি বিজেপির নোংরা চরিত্রের জোব্বাটা গায়ে পরে নিয়েছেন। হারের ভয়ে মৃত্যুকামনা করছেন অভিজিৎ।
অভিজিতকে (Abhijit Ganguly) সবক শেখানোর ভঙ্গিতে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ব্যক্তিগত আক্রোশ, ব্যক্তিগত আক্রমণ কোন নিম্ন পর্যায়ে যেতে পারে, এটা তার উদাহরণ। মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুকামনা! রাজনীতিতে যে সৌজন্য বা সংস্কৃতি রয়েছে, বিজেপির অভিধানে সেসব থাকার কথা নয়। বিজেপি চাইছেটা কী? কখনও মুখ্যমন্ত্রীর বাবাকে আক্রমণ করছেন, কখনও তাঁর বাবাকে আক্রমণ করছেন। অভিজিতের ধারণা আছে, মৃত্যুঘণ্টা কথার অর্থ? উনি জেনে নিন, ১৯৯২ সালে ব্রিগেডের সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামফ্রন্ট সরকারের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়েছিলেন। মাথায় রাখুন বামফ্রন্ট সরকারের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়েছিলেন।
একবারও বলেননি, জ্যোতি বসুর মৃত্যুঘণ্টা। মাননীয় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তালজ্ঞান বলে তো একটা শব্দ আছে, সেটা তো জানতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আপনারা হারাতে পারেন না। আপনাদের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস মাথা নত করে না। তাই আপনারা নিচে নামতে নামতে তাঁর মৃত্যুকামনা করছেন! জেনে রাখুন, শকুনের শাপে গরু মরে না। আপনারা যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন, বাংলার মানুষ এবারের ভোটে বিজেপিকে সেভাবেই সবক শেখাবেন।
আরও পড়ুন- সাতগাছিয়া-বিষ্ণুপুর নিয়ে বৈঠকে অভিষেক, মানুষের মন পড়ুন টার্গেট পূরণ হবেই