সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদ : বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভেবে একের পর এক জনমুখী প্রকল্প তৈরি করছেন, সেখানে বাংলায় কথা বলার অপরাধে রাজ্যের শ্রমিকদের মারধর করল বিজেপি। সিএএ লাগু হওয়ার পর বাংলাভাষী শ্রমিকদের সরাসরি বাংলাদেশি বলে দেগে দিয়ে অকথ্য অত্যাচার চালাল বিজেপির গুণ্ডাবাহিনী। মুর্শিদাবাদের প্রায় ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের উপর হওয়া এই অত্যাচারের তীব্র প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-হার্দিকের নেতৃত্বের ভুল ধরলেন স্মিথ
শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলার জন্য ওড়িশায় বিজেপির রোষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। এমনকী আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড দেখিয়েও হেনস্থার হাত থেকে রেহাই পাননি তাঁরা। বৃহস্পতিবার বিজেপির দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত সেই ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম। ছিলেন বহরমপুরের কাউন্সিলর নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়, অশোক দাস প্রমুখ। সাংসদ সামিরুল ইসলাম বলেন, শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলার জন্য মুর্শিদাবাদের ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে বাংলাদেশি সন্দেহে ওড়িশায় বেধড়ক মারধর করে বিজেপি। এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানকার পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে বিজেপির হাতে আক্রান্ত শ্রমিকদের উদ্ধার করেন।
রাজ্যের কোনও শ্রমিক ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে আটকে পড়লে বা প্রাণ হারালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সবরকমভাবে তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু কাজের জন্য ভিনরাজ্যে যাওয়া বাংলার শ্রমিকদের উপর অকথ্য অত্যাচার চলে বিজেপিশাসিত রাজ্যে। এই নিয়ে সাংসদ আরও জানান, পরিযায়ী শ্রমিকদের যে ডেটা ব্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে তাতে এখনও পর্যন্ত ২২ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বাংলার চেয়েও বিহারের পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা অনেক বেশি। অথচ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলাতেই পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বলে উল্লেখ করে। সামিরুল ইসলাম আরও বলেন, বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাংলায় কাজ করতে আসেন। কই তাঁদের উপর তো কখনও জুলুমবাজি হয় না। তাহলে বাংলার শ্রমিকদের উপর ভিনরাজ্যে আক্রমণ হবে কেন?