প্রতিবেদন : নির্বাচন কমিশন (ECI) যে বিজেপির তল্পিবাহক, কেন্দ্রের হাতের পুতুল, তা ফের একবার প্রমাণিত হল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কুরুচিকর কদর্য মন্তব্যের পরও বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে শুধু সেন্সর করেই ক্ষান্ত রইল নির্বাচন কমিশন (ECI)। প্রথম শোকজ, তারপর শোকজে সন্তুষ্ট না হয়ে সেন্সর! অর্থাৎ কোনও শাস্তি নয়, শুধু সাবধান করেই ছেড়ে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন- বিজেপির ভোট বিজ্ঞাপনে নারীদের অপমান! কমিশনে নালিশ মহিলা সংগঠনের
দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কুরুচিকর মন্তব্যের পর নির্বাচন কমিশনের কাছে দিলীপ ঘোষের প্রার্থিপদ খারিজের আর্জি জানিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু শুধুমাত্র ‘সেন্সর’ করেই দায় সারল নির্বাচন কমিশন। নিদেনপক্ষে তাঁর মুখে লাগাম টানা বা তাঁকে প্রচার থেকে ৭ দিনের জন্য সরিয়ে দেওয়ার মতো শাস্তিও বিধান করল না কমিশন। এ-থেকেই প্রমাণিত কমিশন চলে বিজেপির কথায়। আর তাদের এই পক্ষপাতদুষ্টতার কারণে দিলীপ ঘোষেরা বারবার এমন বেলাগাম কথা বলার সাহস পেয়ে যান। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্যের পর দুর্যোগের খবর পেয়ে রবিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর জলপাইগুড়ি ছুটে যাওয়া নিয়ে ‘মশকরা’ করতে ছাড়লেন না তিনি। দিলীপ ঘোষের এই অমানবিক আচরণকে ধিক্কার জানায় তৃণমূল। দিলীপবাবু, মানুষ কেন বারবার জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই ভরসা রাখেন, সেটা বুঝতে পারছেন তো? বাংলার মানুষই আপনাদের এই ঔদ্ধত্য, অমানবিকতার জবাব দেবেন। মোদি সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতে চলা কমিশন আদতে কিছুই করল না। তারা দিলীপ ঘোষকে সেন্সর আর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে সাবধান করেই দায় সারল। নির্বাচন কমিশন স্বীকার করেছে যে, দিলীপ এমসিসি লঙ্ঘন করেছেন। তারপরও শুধুমাত্র দিলীপকে সতর্ক করল কমিশন। কেন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল না সেই প্রশ্ন তুলে সোমবার দিল্লিতে নির্বাচন সদনে অভিযোগও জানাল তৃণমূল।