মুম্বই, ১ এপ্রিল : ৪৮ রানে রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals-Mumbai Indians) তিন উইকেট চলে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল তাদেরও মুম্বইয়ের হাল হবে! জসশ্বী ১০, বাটলার ১৩ ও সঞ্জু ১২ রান করেন। অশ্বিন ২৪। কিন্তু ৩৯ বলে ৫৪ নট আউট থেকে রাজস্থানকে ৬ উইকেটে জেতালেন রিয়ান পরাগ। এটা টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। রাজস্থান জিতে শীর্ষে উঠে এল। আর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স হারের হ্যাটট্রিক করে ফেলল।
এদিন প্রথম বলেই ফিরে গেলেন রোহিত শর্মা। ট্রেন্ট বোল্টকে থার্ডম্যানে খেলতে গিয়েছিলেন। বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে সোজা চলে গেল উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসনের হাতে। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম বোধহয় এই শক নিতে পারেনি। মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা মাঠ। রোহিত আগের দুই ম্যাচ মিলিয়ে ৬৯ রান করেছিলেন। এখানে খাতাই খুলতে পারেননি।
পরিস্থিতি আরও খারাপ হল যখন ইশান কিশান (১৬) আউট হলেন। বোর্ডে রান ২০-৪। রাতের আলোয় অবিশ্বাস্য দেখাচ্ছিল নানা ইতিহাসের সাক্ষী থাকা এই স্কোরবোর্ডকে। রোহিত ও ইশানের মাঝখানে আউট হয়েছেন নমন ধীর (০) ও ডিওয়াল্ড ব্রেভিস (০)। প্রথম স্পেলে তিন ওভারে ১৪ রান দিয়ে ততক্ষণে তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন বাঁহাতি বোল্ট। ঘরের মাঠে এবারের প্রথম ম্যাচে তখন খুব চাপে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
রাজস্থান রয়্যালস এদিন টসে জিতে মুম্বইকে আগে ব্যাট করতে দিয়েছিল। মরশুমের এটা প্রথম ম্যাচ। উইকেটের যেটুকু সজীবতা ছিল তাকে ভরপুর কাজে লাগিয়ে বোল্ট আর নান্দ্রে বার্গার মুম্বইকে কঠিন রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দেন। দুই স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে নিয়ে বেশ গোছানো বোলিং লাইন আপ সঞ্জুর দলের। সঙ্গে আবেশ খান। যিনি আগের ম্যাচে অসাধারণ এক শেষ ওভার করেছেন।
প্রচণ্ড চাপ নিয়ে এই ম্যাচে খেলতে নেমেছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। একে তো মুম্বই (Rajasthan Royals-Mumbai Indians) দুটি ম্যাচে হেরে এখানে নেমেছিল। তার উপর রোহিতকে সরিয়ে অধিনায়কের চেয়ারে বসা বরোদা অলরাউন্ডারকে আগের দুই ম্যাচে গ্যালারির বিদ্রূপ শুনতে হয়েছে। পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বইকে এবার শুরু থেকে চাপে থাকা দল মনে হয়েছে। ব্যাটিং ও বোলিং কোনওটাই তাদের ভাল হয়নি।
আরও পড়ুন- বিপদসীমার বাইরে অ্যাপোফিস
সোমবার টসের আগে সঞ্জয় মঞ্জরেকর একটা কাণ্ড ঘটালেন। তিনি আশঙ্কা করছিলেন মুম্বই সমর্থকদের ক্ষোভ ঘরের মাঠেও না সংক্রামিত হয়! তিনি মাইক হাতে বললেন, উই হ্যাভ দ্য টু ক্যাপ্টেন্স উইথ মি। হার্দিক পাণ্ডিয়া, মুম্বইয়ের অধিনায়ক। বড় হাততালি দিন। তারপরই মঞ্জরেকর বলে ওঠেন, লেডিজ অ্যান্ড জেন্টলম্যান, বিহেভ। অর্থাৎ খেলা দেখুন আর নিজেকে সংযত রাখুন। বেশ অভিনব আবেদন।
হার্দিক অবশ্য ভালই খেলছিলেন (৩৪)। তাঁর আর তিলক ভার্মার (৩২) জুটিতে মুম্বই কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু পরেরদিকে এমন কাউকে পাওয়া গেল না যিনি মুম্বই ইনিংসকে টেনে নিয়ে যেতে পারেন। চাহাল এসে ৪ ওভারে ১১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে গেলেন। মুম্বই শেষমেশ ২০ ওভারে ১২৫/৯ করতে পেরেছে। টিম ডেভিড শেষদিকে ১৭ রান করলেও খেলেছেন ২৪টি বল।