প্রতিবেদন : রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্যেও এতদিন কোনওরকমে চলছিল গাজার বৃহত্তম আল শিফা হাসপাতাল (al-Shifa hospital)। মুমূর্ষু রোগীদের জীবনদায়ী পরিষেবা দেওয়ার যুদ্ধ চালাচ্ছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু আর তা ধরে রাখা গেল না। এপ্রিলের শুরুতেই ধ্বংসাবশেষে পরিণত হল আল শিফা। নিহত প্রায় ৪০০। অসংখ্য অসামরিক মানুষ, মুমূর্ষু রোগী, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আছেন এই মৃত্যুমিছিলে। ইজরায়েলের চরম মানবতাবিরোধী অভিযানের নিন্দায় বিশ্ব।
আন্তর্জাতিক জনমত উপেক্ষা করে গত দু’সপ্তাহ ধরে আল শিফা হাসপাতালে হামাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছিল বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনা। এবার গাজার বৃহত্তম এই আল শিফা হাসপাতাল পুরোপুরি ধ্বংস করে ক্ষান্ত হল তারা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল, ভেঙে পড়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য পরিষেবা। অন্তত ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশই সাধারণ মানুষ এবং চিকিৎসক। প্রমাণ লোপাটে মৃতদেহ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েলি সেনা, এমন নজিরবিহীন অভিযোগও উঠেছে।
ইজরায়েল বারবার দাবি করেছিল যে আল শিফা হাসপাতালকে (al-Shifa hospital) ঘাঁটি করে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে হামাস জঙ্গিরা। ইজরায়েলের অনেক পণবন্দিকেও সেখানে লুকিয়ে রেখেছে তারা। রোগীদের ঢাল বানিয়ে কার্যত ইজরায়েল বিরোধী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে হামাস জঙ্গিগোষ্ঠী। পুরোপুরি ধ্বংসের পর বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার হয়েছে বহু অস্ত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি, যা তাদের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করে দিচ্ছে। ইজরায়েলি সেনার দাবি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্দরে অন্তত ২০০ জন জঙ্গি লুকিয়ে ছিল যাদের খতম করা গিয়েছে। যদিও চিকিৎসক বা সাধারণ মানুষকে মারা হয়নি বলেই দাবি করছে ইজরায়েলি সেনা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, আল শিফা হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেকেই আটকে থাকতে পারেন। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় মৃতের সংখ্যা কত তার সঠিক সংখ্যা পাওয়া কঠিন।
আরও পড়ুন- কুমারগ্রামে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন মন্ত্রী অরূপ