প্রতিবেদন : গত কয়েকদিনের মতো শুক্রবারও মালদহে দলীয় অভ্যন্তরীণ বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় দলের সর্বস্তরের সাংগঠনিক নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সকলকে এককাট্টা হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দেন অভিষেক। জেলা নেতৃত্বকে তিনি বলেন, এখন সব ভুলে সর্বাত্মক প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। বুথ ধরে ধরে প্রচার করতে হবে। এদিন বৈঠকের পরে সন্ধ্যায় অভিষেক তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, মালদা উত্তর এবং মালদা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে আমার সহযোদ্ধাদের আত্মবল দেখে আমি উত্তেজিত। আমাদের মনে রাখতে হবে জনসাধারণের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছে যেতে হবে। কোন কোন জায়গায় আমাদের খামতি রয়েছে, তা বিনয়ের সঙ্গে জেনে পূরণ করতে হবে। কোনও আত্মতুষ্টির জায়গা রাখলে চলবে না। কারণ, গণতন্ত্রে গণদেবতাই শেষ কথা বলে।
আরও পড়ুন-পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলছেন রাজ্যপাল : ব্রাত্য
ঘরে ঘরে একদিকে যেমন বাংলা বিরোধীদের অপশাসনের দীর্ঘ তালিকা ধরুন, উল্টোদিকে কীভাবে জনদরদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মা-মাটি-মানুষের সরকার আপামর বঙ্গবাসীর পাশে থেকেছেন, তাও তুলে ধরুন। এই পার্থক্য বলে দেবে, কারা মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। আজ, শনিবারও রয়েছে তাঁর কর্মসূচি। আজ রাজ্য জুড়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। শুক্রবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া পর্যালোচনা বৈঠক চলে দীর্ঘক্ষণ। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, এবার মালদা উত্তর এবং দক্ষিণ দুটি আসনই তৃণমূল জিতবে। তাঁর কথায়, এর আগে মুর্শিদাবাদ ও মালদায় যেভাবে মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করেছেন তা অকল্পনীয়। বিশেষ করে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর যে সার্বিক উন্নয়নের ধারা চলছে তা অব্যাহত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। তাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। মালদা ও মুর্শিদাবাদের মানুষ তা বুঝেছেন। আমরা আশাবাদী অত্যন্ত ভাল ব্যবধানে দুটি আসনেই আমরা জিতব। অভিষেকের সংযোজন, এদিনের বৈঠকে দলের জেলা নির্বাচন কমিটির সদস্যরা, প্রার্থীরা, বিধায়ক, মন্ত্রী, জেলাপরিষদের সভাধিপতি, জনপ্রতিনিধি-সহ সকলেই উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকে ফরাক্কা ও সামশেরগঞ্জের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সাংগঠনিক বিষয়ে কী আলোচনা হয়েছে তা অবশ্যই সংবাদমাধ্যমের সামনে আমি বলব না, তবে আমার বিশ্বাস আমরা যে উন্নয়নের কাজ করেছি তাতে মানুষ তৃণমূলের পাশেই থাকবেন। আরও দু’একটি কথা অভিষেক বলতেন কিন্তু হঠাৎই বৈঠকে আসা সাবিত্রী মিত্র অসুস্থতার কথা শুনে তৎক্ষণাৎ তাঁর কাছে ছুটে যান তিনি।