বাসুদেব ভট্টাচার্য, জলপাইগুড়ি: রাজ্যের মানুষের ভরসার নাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ির মানুষের উপস্থিতি তা আবারও প্রমাণ করে দিয়েছে। শুক্রবার জলপাইগুড়ি শহরের এবিপিসি মাঠে নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন জলপাইগুড়ি জেলায় ছিল তাঁর দ্বিতীয় দিনের সভা। প্রথম সভাটি বৃহস্পতিবার হয়েছে মালবাজারে।
আরও পড়ুন-দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো
শুক্রবারের প্রচণ্ড রোদ, গরম উপেক্ষা করে এই নির্বাচনী জনসভায় হাজির হয়েছিলেন প্রচুর মহিলা। উন্নয়নের তালিকা ধরে জয়ধ্বনি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বরণ করে নেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই শুক্রবার থেকে খুলে গিয়েছে মালবাজারের সাইলি চা-বাগান। জলপাইগুড়ি হাসছে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে। মানুষও তাই তাঁকে ভালবাসা উজাড় করে দিয়েছেন। এদিন সভায় উপস্থিত মহিলাদের মুখে একটাই কথা— তাঁদের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে এসেছেন। তাঁর কথা শুনতে এসেছেন। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের যা কথা দিয়েছেন সেই কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। তাই তাঁদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আপন কেউ নয়। তাই আপন মানুষটিকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ কেই-বা হাতছাড়া করে? ঠিক সেই কারণেই প্রত্যন্ত গ্রাম এবং শহর থেকে প্রচুর মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন এই জনসভায়। মহিলারা হাতে করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে প্রথম দর্শকাসনের প্রথম সারিতে বসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাব ও দিয়েছেন তারা। তবে শুধু মহিলারাই নয় এই জনসভায় হাজির ছিলেন আবালবৃদ্ধবনিতা।
আরও পড়ুন-ঠাকুরনগরে আজ থেকে মতুয়া মেলা সতর্ক প্রশাসন
একদিকে যেমন মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো, ঠিক অন্যদিকে ছাত্র যুবদের ভিড়ও ছিল প্রচুর। এ বলে আমকে দেখ তো ও বলে আমাকে দেখ। রীতিমতো কারা বেশি তা নিয়ে মনে হয় প্রতিযোগিতা চলছিল। সভায় উপস্থিত সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর পুরো বক্তব্য শোনেন। মাঠে ততক্ষণ ছিলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁর কপ্টার ওড়েনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সভায় উপস্থিত হবার সঙ্গে সঙ্গে উলু এবং শঙ্খধ্বনিতে বরণ করে নেন উপস্থিত মহিলারা। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে সভার শেষেও একই ভাবে উলু ও শঙ্খধ্বনি দিয়ে তাঁর আবদার রাখেন মহিলারা।