আজ, তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে তপনে জনসভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে মঞ্চ থেকেই প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্নীতি প্রসঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”ওরা বলছে দুর্নীতি হয়েছে। তাই টাকা দিচ্ছি না। সুকান্তবাবুকে ভোট দেওয়ার আগে চ্যালেঞ্জ করছি, আপনি আর গদ্দার বললেননি? বাংলাকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া যাবে না? বাংলার বাড়ি দেওয়া যাবে না? রাস্তা দেওয়া যাবে না? আপনারা বাংলার গদ্দার। আপনারা উত্তরবঙ্গকেও ভালবাসেন না। দেখলেন তো জলপাইগুড়িতে দুর্যোগ হল। আমি মধ্যরাতে ছুটে গেলাম। যা যা দেওয়ার সব দিয়েছি। চারদিন আগে আমরা কমিশনকে পাঠিয়ে দিয়েছি। বলছে দুর্নীতি হয়েছে।আমি কালকেই চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। আপনাদের ১৩৩টা টিম এখানে পাঠিয়েছিলেন। সব দেখে গেছে। সার্টিফাই করে গেছে। ১১ লক্ষ বাড়ির কেস আপনারা চেয়েছেন। আমরা পাঠিয়েছি। এরপর চিঠি লিখে বলেছে আপনার বাড়ির চাই, আপনি বিজেপির কলসেন্টারে অ্যাপ্লাই করবেন। খবরদার করবেন না। ওই ১১ লক্ষ বাড়ি আমরা করে দেব। এই বাড়ি হলে আজকে মানুষগুলোকে রাস্তায় থাকতে হত না। পাঁচ হাজার বাড়ি তৈরির জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের ক্লিয়ারেন্স চেয়েছি।অপেক্ষা করছে। মোদীবাবু আসবেন, বলবেন, তারপর ক্লিয়ার করবেন। আরে লোকগুলো যে মাটিতে পড়ে আছে। টাকা তো মোদীবাবু দেবেন না, আমরা দেব।”
আরও পড়ুন-‘ক্ষমতা থাকলে লড়াই করে জেত’ এনআইএ’র আচরণ নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী
কেন্দ্রের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে রাজ্যের তুলনা টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”পেনশন বন্ধ করেছে কেন্দ্র। অথচ আমরা গতমাসে ২৮ লক্ষ বার্ধক্য ভাতা দিয়েছি। এবার থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের আলাদা স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেওয়া হবে। আমি নিজের কথা কখনও বলি না। ওরা বলছে তোমাদের সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের টাকা দেব না। আমি বললাম কেন? বলল গেরুয়া রঙ করবে। আমি বললাম করতে হবে না। গেরুয়া রঙ সাধুরা পরবেন। মন্দিরে থাকবে। বলেছে রেশনের ব্যাগে মোদীর ছবি দিতে হবে। বলেছি দেব না। আমরা টাকা দেব। তোমার ভিক্ষা চাই না। আজ সন্দেশখালি নিয়ে বলেছে। ওইখানে জমি নিয়ে গন্ডোগোল হয়েছিল। আমাদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সব জায়গা ফিরিয়েছে। এমনকী, যে মহিলাকে প্রার্থী করেছে, তিনি নাকি কিছু পাননা। স্বাস্থ্যসাথী পান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও পান। আমি খুশি যে পাচ্ছেন। একবার স্বীকার করুন। বাংলাকে দুর্নীতিবাজ বলার আগে এজি রিপোর্ট প্রকাশ করুন। ৮৫ লক্ষ দুর্নীতি হয়েছে। কোনও বাড়িতে মায়ের পাঁচটা ছেলে থাকলে একটা দুষ্টু, একটা মিষ্টি হতে পারে। তা বলে সকলে খারাপ বলার কারণ নেই।”