প্রতিবেদন : রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে বেতন তাহলে উনিই দিন। শনিবার ফের একবার কড়া ভাষায় রাজ্যপালকে আক্রমণ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুধু শিক্ষামন্ত্রীই নন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি যে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সেই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করে বিজেপি বিরোধী দলগুলি বলেছে, এই বিষয়ে রাজ্যপালের কোনও এক্তিয়ার নেই। ব্রাত্য স্পষ্টই জানিয়েছেন, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে রাজ্যপালই বেতন দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অধ্যাপকদের। রাজ্যপাল যেরকম শিশুসুলভ আচরণ শুরু করেছেন তা কোনওভাবেই কাম্য নয়।
আরও পড়ুন-‘পরিযায়ী শ্রমিকদের আলাদা স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড’ আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
স্বাধীনতার পর এই ধরনের পরিস্থিতি কখনও বাংলায় হয়নি। শিক্ষা ব্যবস্থায় এটা কলঙ্কের। আচার্য হিসাবে এই জায়গাটা উনি দূর করতে পারতেন যদি রাজ্যের সঙ্গে মিলে-মিশে কাজ করতেন। বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ববিদ্যালয় পিছু কয়েক কোটি অনুদান দেয় রাজ্য। অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মীদের বেতন দেওয়া হয়। উনি এখন বলছেন, আমি এটা একা নিয়ন্ত্রণ করব। আপনি যদি নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাহলে অনুদান আপনি জোগাড় করুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মীদের বেতন আপনি জোগাড় করুন। সেই দায়িত্ব উনি নিচ্ছেন না। উনি বলছেন, বেতন সরকার দেবে। আমি শুধু ইচ্ছেমতো লোক বসাব আর তুলব।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরানোর নির্দেশ দিয়েও যখন আচার্য বিশেষ সুবিধা করতে পারলেন না ঠিক তখনই তিনি ন্যক্কারজনকভাবে রেজিস্ট্রারকে উপাচার্যের দফতর সিল করে দেওয়ার নির্দেশও দেন। এপ্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রজতকিশোর দে দফতরে যাচ্ছেন। নিয়মিত কাজ করছেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে উচ্চশিক্ষা দফতর পরামর্শ দেবে।
আরও পড়ুন-তৃণমূল মহিলা সদস্য ১ লক্ষ বেড়ে ৫ লক্ষ
রাজ্যপাল চাপের মুখে পড়ে শিক্ষামন্ত্রীকে সরানোর বিষয়টি অস্বীকার করে দাবি করে বলেছেন, তাঁর কাছে শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, সেই বিষয়টি তিনি রাজ্যকে জানিয়েছেন। এ-প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর কটাক্ষ, উনি আগের দিন যা বলেছেন তার থেকে একটু পিছিয়েছেন। উনি এক পা পিছিয়ে, দুই পা এগিয়ে, এভাবে এগোতে চাইছেন। সকালে বলছেন সুপারিশ করছি, বিকেলে বলছেন, না করছি না। বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ আগামিকাল প্রত্যাহার হয়ে যায় কি না, সেটাও দেখতে হবে। কিছু কেয়ারটেকার উপাচার্য গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা তৈরির চেষ্টা করছেন। নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। আমি চাইব, রাজ্যপাল তথা আচার্যের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।