জয়পুর, ৬ এপ্রিল : মাথায় অরেঞ্জ ক্যাপ। অথচ পকেটে হারের হ্যাটট্রিক! শনিবার রাতে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৬ উইকেটে হারের পর বিরাট কোহলির থমথমে মুখ দেখলে কে বলবে, এই মাচেই তাঁর ব্যাট থেকে ঝকঝকে সেঞ্চুরি এসেছে! চলতি আইপিএলে তাঁর নামের পাশে এখনই ৩১৬ রান। যা টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন-তৃণমূল মহিলা সদস্য ১ লক্ষ বেড়ে ৫ লক্ষ
বিরাটের মুখের হাসি যিনি কেড়ে নিলেন, তিনি আর কেউ নন, জস বাটলার। ডানহাতি ইংরেজ ওপেনারকে টি-২০ ফরম্যাটে ম্যাচ উইনার হিসেবে একবাক্যে মেনে নেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এবারের আইপিএলে ঠিকঠাক ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না। শনিবার অবশ্য বাটলারের খুনে মেজাজের ব্যাটিংয়ের সাক্ষী রইল গোলাপি শহর জয়পুর।
৫৮ বলে ৯টি চার ও ৪টি ছয় মেরে ১০০ রানে অপরাজিত রইলেন বাটলার। নিট ফল, ৫ বল হাতে রেখেই জয় ছিনিয়ে নিল রাজস্থান। টানা চার ম্যাচ জিতে কেকেআরকে টপকে আইপিএলের শীর্ষে উঠে এল তারা। আরও একটা তথ্য, ম্যাচটা ছিল বাটলারের ১০০তম আইপিএল ম্যাচ। মুহূর্তটা তিনি স্মরণীয় করে রাখলেন সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে। শেষ ছয় বলে জেতার জন্য দরকার ছিল ১ রান। বাটলার ব্যাট করছিলেন ৯৪ রানে। ক্যামেরন গ্রিনের প্রথম বলটাই সীমানার বাইরে উড়িয়ে দিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পাশাপাশি দলকে জয় এনে দেন বাটলার।
আরও পড়ুন-শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে বেতন দিন বোস: ব্রাত্য
আরও একজনের কথা বলতেই হবে। সঞ্জু স্যামসন। ১৮৪ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই যশস্বী জয়সওয়ালের (০) উইকেট হারিয়েছিল রাজস্থান। ওই পরিস্থিতিতে ক্রিজে এসে ৪২ বলে ৬৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দিলেন সঞ্জু। বাটলারের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৮৬ বলে যোগ করলেন ১৪৮ রান। যা দলের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল।
এর আগে, আরসিবির দুই ওপেনার বিরাট ও ফাফ ডুপ্লেসিও শুরু থেকেই চালিয়ে খেলছিলেন। প্রথম ১১.২ ওভারেই ১০০ রান যোগ করে ফেলেছিলেন বিরাট-ডুপ্লেসি জুটি। ৩৯ বলে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিরাট। তবে ১২৫ রান যোগ করার পর ৩৩ বলে ৪৪ রান করে আউট হন ডুপ্লেসি। ডুপ্লেসি আউট হওয়ার পরেই ঘনঘন উইকেট পড়তে থাকে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। মাত্র ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর সৌরভ চৌহান ৯ রান করে আউট হন। ফলে আরসিবির রান তোলার গতি অনেকটাই কমে গিয়েছিল। অন্যপ্রান্তে উইকেট পড়লেও, বিরাট ৬৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১১৩ রান করে। বিরাটের ৭২ বলের ইনিংস সাজানো ছিল ১২টি চার ও ৪টি ছয় দিয়ে।