সংবাদদাতা, বনগাঁ : তৃণমূল সাংসদ তথা সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুরের (Mamata Bala Thakur) ঘর দখল করা নিয়ে রবিবারের পর সোমবারও দিনভর উত্তেজনা ও অশান্তি চলল উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে। বিজেপির গুন্ডামি ও অসভ্যতার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে ঘরের বাইরে ধরনায় বসেন মমতাবালা ঠাকুর। বেলার দিকে পুলিশি হস্তক্ষেপে তাঁর ঘর খোলা হয়। ঘর থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বের করে নেন মমতাবালা (Mamata Bala Thakur)। অভিযোগ, তিনি জিনিসপত্র বের করে নেওয়ার পর ফের ঘরে তালা লাগিয়ে দেয় শান্তনুর সাঙ্গোপাঙ্গরা। এখন নিজের ঘরেই ঢুকতে পারছেন না তৃণমূল সাংসদ। এই ঘটনায় মতুয়া সমাজের একাংশ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলেই অনুগামীদের নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করেন মমতাবালা ঠাকুর। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। প্রতিবাদী মতুয়া সমাজের পাশাপাশি অসংখ্য সাধারণ মানুষও মিছিলে পা মেলান। সবমিলিয়ে বিজেপি সাংসদের গুন্ডামি ও অসভ্যতার জেরে উত্তেজনা, অশান্তি অব্যাহত ঠাকুরবাড়িতে।
আরও পড়ুন- কাঁথির ৩০ তৃণমূল নেতাকে এবার তলব করল সিবিআই
বুধবারই রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা মমতাবালা ঠাকুরের। মঙ্গলবার দিল্লি উড়ে যাওয়ার কথা। তার আগে জোর করে মমতাবালা ঠাকুরের ঘর দখল করে অসভ্যতা ও গুন্ডামি শুরু করে বিজেপি। গোটা ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের দলবল। মতুয়াদের একাংশের অভিযোগ, বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে নিশ্চিত হার বুঝতে পেরেই মরিয়া হয়ে এখন গুন্ডামি শুরু করেছেন বিজেপির মন্ত্রী তথা সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু ও তার গুন্ডারা রবিবার শাবল, গাঁইতি, হাতুড়ি নিয়ে এসে তালা ভেঙে মমতাবালা ঠাকুরের ঘরে ঢোকে। ভাঙচুর চালানো হয় পি আর ঠাকুরের ঘরেও। ঘটনার পরই রাতে গাইঘাটা থানায় শান্তনু-সহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন মমতাবালা ঠাকুর। বিজেপি গুন্ডাদের সঙ্গে নিয়ে শান্তনু ঠাকুর অকথ্য গালিগালাজ করে মমতাবালাকে প্রাণে মারার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ।