প্রতিবেদন : নির্বাচন কমিশন যতদিন পর্যন্ত না তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিবাচক পদক্ষেপ করছে, প্রতিবাদ চলবে। মঙ্গলবার হুগলি জেলার নির্বাচনী কমিটির বৈঠক শেষে বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি বলেন, দিল্লিতে আমাদের প্রতিনিধিরা ২৪ ঘণ্টা টানা ধরনা করেছে। পুলিশের হামলা সকলে দেখেছেন। রাজ্যপালকেও আমরা সবটা জানিয়েছি। তিনি আমাদের পরবর্তী উত্তর জানালে তাঁর সঙ্গে দেখা করে আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেব। কিন্তু কমিশনকে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতেই হবে। এনআইএ-র এসপিকে লোক দেখানো শোকজ কিংবা অন্য কিছুতে আমরা মানব না। তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। একইসঙ্গে এনআইএ-র ডিজিকেও সরাতে হবে। কারণ পদস্থ কর্তা হিসেবে ডিজির যোগসাজশ ছাড়া এনআইএ-র এসপি এ-জিনিস করার সাহস পেত না। অভিষেকের যুক্তি, কমিশন যদি ৪৮ ঘণ্টায় বাংলায় দু’বার ডিজি পরিবর্তন করতে পারে, তবে এই ষড়যন্ত্রের অকাট্য তথ্যপ্রমাণ ও ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও কেন এসপি ও ডিজিকে সরাবে না? তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের স্পষ্ট বক্তব্য, আসলে বিজেপি ভয় পেয়েছে। মানুষকে ভয় পেয়েছে তারা। প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতি রোধের ভাষণে প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, দুটো হিমন্তর কথা বলব। একজন হেমন্ত সোরেন। যিনি স্বৈরাচারীদের বিরুদ্ধে মাথা নত না করায় ইডি তাঁকে বাড়িতে ঢুকে গ্রেফতার করেছে। আর একজন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সারদায় নাম থাকা সত্ত্বেও বিজেপিতে যাওয়ায় এজেন্সি তাঁকে ছুঁয়েও দেখেনি। এদিন হুগলির বৈঠক প্রসঙ্গে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বক্তব্য, বিজেপির সাংসদকে বলব, প্রাক্তন সাংসদের প্যাড ছাপিয়ে রাখুন। হুগলিতে সব থেকে বেশি ব্যবধানে জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর সংযোজন, বিরোধীদের এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখিয়ে আটকাতে চাইছে বিজেপি। মানুষ এর জবাব দেবেন।
আরও পড়ুন- মুখ্যসচিব গোপালিকার মেয়াদ বাড়াতে কেন্দ্রকে আবেদন রাজ্য সরকারের