মুম্বই: সূর্যোদয়ের সাক্ষী রইল রাতের ওয়াংখেড়ে! ২১ রানে ৫ উইকেট নিলেন জসপ্রীত বুমরা। ঝোড়ো হাফ সেঞ্চুরি হাঁকালেন ঈশান কিশান। দুশোর কাছাকাছি রান তাড়া করে ৭ উইকেটে জিতল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians-RCB)। তাও আবার ২৭ বল হাতে রেখে।
কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে বৃহস্পতিবার রাতের ওয়াংখেড়েতে একটাই নাম ঘুরে ফিরে এল– সূর্যকুমার যাদব। চোট সরিয়ে দলে ফিরে আগের ম্যাচে শূন্য করেছিলেন। এদিন মাত্র ১৯ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছয় মেরে ৫২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে দিলেন সূর্য। সামনেই টি-২০ বিশ্বকাপ। তার আগে সূর্যর চেনা ফর্মে ফেরা রাহুল দ্রাবিড়ের মুখে হাসি ফোটাবে।
তবে মুম্বইয়ের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন ঈশান ও রোহিত শর্মা। ১৯৭ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম উইকেটে ৫৩ বলে ১০১ রান যোগ করেন দু’জনে। ঈশান আউট হন ৩৪ বলে ৬৯ করে। রোহিতের অবদান ২৪ বলে ৩৮। বাকি কাজটা সারেন সূর্য ও হার্দিক পান্ডিয়া (৬ বলে অপরাজিত ২১)। হারের হ্যাটট্রিকের পর টানা দুটো ম্যাচ জিতে ফের চেনা ছন্দে মুম্বাই। অন্যদিকে, ৬ ম্যাচের পাঁচটিতেই হার! চলতি আইপিএলে ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছে আরসিবি (Mumbai Indians-RCB)।
আরও পড়ুন- আজ উত্তরে জোড়া সভা নেত্রীর, ধূপগুড়িতে জনসভায় অভিষেক
এই ম্যাচেও বিরাট কোহলিদের ডোবাল খারাপ বোলিং। এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খেয়েছিল আরসিবি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল করতে এসেই বিরাট কোহলিকে তুলে নেন বুমরা। ৯ বলে মাত্র ৩ রান করে বুমরার বলে উইকেটের পিছনে ঈশান কিশানের হাতে ধরা পড়েন বিরাট। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা উইল জ্যাকও মাত্র ৮ রান করে আকাশ মাধোয়ালের শিকার হন।
ওই পরিস্থিতিতে দলকে টেনেছেন ফাফ ডুপ্লেসি ও রজত পাতিদার। তুলনামূলকভাবে বেশি আগ্রাসী ছিলেন পাতিদার। জেরার্ড কোয়েৎসিকে পরপর দু’টি ছয় মেরে মাত্র ২৫ বলে ৫০ করেন তিনি। কিন্তু পরের বলেই পাতিদারকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান কোয়েৎসি। পরের ওভারেই শ্রেয়স গোপালের বলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (০) আউট হলে ফের চাপে পড়ে গিয়েছিল আরসিবি। ডুপ্লেসি আউট হন ৪০ বলে ৬১ রান করে। শেষ দিকে দীনেশ কার্তিক ২৩ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করে দলকে দুশোর কাছাকাছি পৌঁছে দেন।