মোদি-সহ বিজেপি সরকারকে একহাত নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শুক্রবার, দিনহাটার নির্বাচনী সভা মঞ্চ থেকে তীব্র কটাক্ষ করে মোদির উদ্দেশ্যে বলেন, ”কোভিডে একটা ইঞ্জেকশন দিয়েছিল, তাতেও ছবি লাগিয়েছেন মোদিবাবু। এত আত্মপ্রচার করেন, সিনেমায় নামছেন না কেন?” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) কথায়, যাঁরা অভিনয় করেন, তাঁরা পরিশ্রম করেন। আর মোদি জনগণের টাকায় নিজের প্রচার করছেন। তৃণমূল সভানেত্রী বলেন, অতই অভিনয়ের শখ হলে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে কাজ করুন।
এদিন সভায় মোদি সরকার থেকে উত্তরপ্রদেশের সরকারকে তুলোধনা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো (CM Mamata Banerjee)। তুলে আনেন পুলওয়ামা হামলার প্রসঙ্গও। বলেন, ”বেঙ্গালুরুতে যাঁরা বোমা ফেলেছিল, তাঁরা কর্ণাটকের বাসিন্দা। বাংলায় লুকিয়েছিল, ২ ঘণ্টায় ধরে দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। বাংলার মানুষ শান্তিতে থাকে, বিজেপির সহ্য হয় না।”
আরও পড়ুন- প্রশাসনের মাধ্যমে ‘বাংলার বাড়ি’র সুবিধা পাবেন ক্ষতিগ্রস্তরা, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
নির্বাচন কমিশনকেও নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “ভারতের ভোটের দিকে সারা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে। মনে রাখবেন, বিজেপির কথায় আপনারা ভোটে পক্ষপাতিত্ব করলে মানুষ কিন্তু ক্ষমা করবে না।” তৃণমূল সুপ্রিমোর নিশানা থেকে বাদ যায়নি বিচার ব্যবস্থাও। তাঁর অভিযোগ, “বিচারালয়গুলোতে কী কী হচ্ছে সবাই জানে। তৃণমূল কর্মী জামিন চাইতে গেলে জেল, আর বিজেপি কর্মী খুন করলেও সঙ্গে সঙ্গে জামিন! তার বিরুদ্ধে কিছু করা যাবে না। যেন বিজেপির লিডারের মতো কথা বলছে। সবাই নয়, তবে কয়েকজন রয়েছেন।” একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, কমিশনের বদলির ভয়ে, কয়েকজন পুলিশ অফিসার বিজেপির প্রার্থীর কথায় চলছেন। তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অত ভয় থাকলে নিশীথের বাড়িতে গিয়ে বসুন। মনে রাখবেন, আমি কোচবিহারে কোনও অশান্তি বরদাস্ত করব না।”
নাম না করে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও ধুয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, “এই তো দেখলেন চাকরি খেয়ে নিয়ে এখন বিজেপির নেতা হয়ে বসে আছে। লজ্জাও করে না।” বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগেরবার বলেছিল ২০০ পার। এবার বলছে ৪০০ পার। আগে ২০০ পার করুন, তারপর সাঁতার কাটবেন! যদি মানুষ আপনাদের এতই ভালবাসে তাহলে আপনাদের হাতিয়ার কেন বিজেপির সাধারণ কর্মী নয়, কেন এনআইএ, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্সকে হাতিয়ার করতে হচ্ছে!”