মুম্বই : ২৪ ঘণ্টা আগে হাইড্রোজেন বোমা ফাটাবেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা নবাব মালিক। বুধবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ আছে দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ রিয়াজ ভাট্টির। এখানেই শেষ নয়।
নবাব বলেন, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন দেবেন্দ্র একাধিক দুর্নীতি ও অন্ধকার জগতের লোকজনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এমনকী, ২০১৬ নোটবন্দির সময় এক বড়সড় জালনোট চক্রকে সুরক্ষা দিয়েছিলেন দেবেন্দ্র। এই কাজে দেবেন্দ্রকে সব ধরনের সাহায্য করেছিলেন বর্তমান এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। একইসঙ্গে দেবেন্দ্র জালনোট পাচার চক্রের সঙ্গেও জড়িত বলে অভিযোগ করেন নবাব।
আরও পড়ুন-শুভেন্দুকে চোর বললেন বিজেপির জেলা সভাপতিই
প্রবীণ এনসিপি নেতার অভিযোগ, ২০১৬ সালে নোট বাতিলের পরেও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর জাল টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু নোট বাতিলের একবছর পরেও দেবেন্দ্রর ইশারাতেই মহারাষ্ট্রে রমরমিয়ে ওই টাকা ব্যবহার হয়েছে। ২০১৭ সালের ৮ অক্টোবর মুম্বইয়ের বিকেসি থেকে ১৪.৫৬ কোটি টাকার জাল নোট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সেই মামলাটিকেও ধামাচাপা দিয়ে ছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।
আরও পড়ুন-‘শুভেন্দু হটাও’ আওয়াজ নন্দীগ্রাম জুড়ে
নবাব অভিযোগ করেন, ওই সমস্ত জালনোট পাকিস্তান থেকে আসত। এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যাতে দ্রুত জামিন পায় তার জন্য সব ব্যবস্থাই করতেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এ ধরনের মামলার তদন্তভার কখনওই এনআইএর হাতে দেয়নি দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকার। বরং মহারাষ্ট্রের সেই সময়কার বিজেপি সরকার সবসময় বলত, এই জাল নোট চক্রের সঙ্গে কংগ্রেস নেতারা জড়িত।
আরও পড়ুন-পুরীর আদলে লন্ডনে হবে জগন্নাথ মন্দির
দাউদসঙ্গী রিয়াজ ভাট্টি প্রসঙ্গে নবাব বলেন, এই রিয়াজ ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে ধরা পড়েছিল। কিন্তু মাত্র দু’দিনের মধ্যেই তার জামিনে মুক্তির ব্যবস্থা করে দেন দেবেন্দ্র। রিয়াজকে দেবেন্দ্র এবং অন্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একাধিকবার দেখা গিয়েছে। শুধু রাজ্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গেই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুষ্ঠানেও রিয়াজ উপস্থিত ছিল এবং মোদির সঙ্গে তার একাধিক ছবিও রয়েছে। দেবেন্দ্র আমার বিরুদ্ধে অন্ধকার জগতের লোকজনের সঙ্গে জড়িত থাকার যে অভিযোগ করেছে তার কোনও ভিত্তি নেই।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় তৃণমূলকে থামাতে গেরুয়া সন্ত্রাস চলছেই, তবু অবিচল প্রার্থীরা
রিয়াজ ছাড়াও নাগপুরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী মুন্না যাদবের সঙ্গেও দেবেন্দ্রর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এই মুন্নাকে দেবেন্দ্র মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন শ্রমিক সংগঠনের চেয়ারম্যান করেছিলেন। একইভাবে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে যুক্ত হায়দার আজিমকে মৌলানা আজাদ ফিন্যান্স কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান করেছিলেন দেবেন্দ্র।