প্রতিবেদন : অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির গুলিতে খতম পাকিস্তানে ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিংহের উপর প্রাণঘাতী হামলায় অভিযুক্ত আমির সরফরাজ। ১৯৯০ সালে লাহোর ও ফয়সলাবাদে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনায় চক্রান্ত করে পাঞ্জাবের যুবক সরবজিৎ সিংহকে ফাঁসিয়েছিল তৎকালীন পাক সরকার। পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষক পরিবারের ছেলে সরবজিৎ এক রাতে মদ্যপ অবস্থায় পথ ভুলে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে গিয়ে পাক সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রে এবার ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের আশায় লাক্ষাদ্বীপ
তারপরেই তাঁর বিরুদ্ধে বোমা বিস্ফোরণ, গুপ্তচরবৃত্তি-সহ একাধিক অভিযোগে এনে তাঁকে পাকিস্তানের জেলে পুরে দেওয়া হয়। পরে সেই বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত মনজিৎ সিংহ ধরা পড়লেও ছাড়া পাননি সরবজিৎ। শেষপর্যন্ত পাক আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি শোনায়। সরবজিতের পরিবার দীর্ঘ ২০ বছর ধরে লড়াই করেও ঘরের ছেলেকে ঘরে ফেরাতে পারেননি। তবে ফাঁসিতে ঝোলানোর আগেই ২০১৩ সালের ২ মে জেলের মধ্যেই সরবজিতের উপর প্রাণঘাতী হামলা হয়। পিটিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পাক ডন আমির সরফরাজ। সে দেশের মোস্ট ওয়ান্টেড-এর তালিকায় নাম থাকা সরফরাজের বিরুদ্ধে ছিল খুন, অপহরণ-সহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ। সেই সরফরাজকেই এবার লাহোরে গুলি করে হত্যা করল এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। তবে কে কী কারণে তাকে খুন করল, তা এখনও জানা যায়নি।