নকিব উদ্দিন গাজি, ডায়মন্ড হারবার: শুরু হয়ে গিয়েছে সুন্দরবনের (Sunderban) সরকারি মধু সংগ্রহ মরশুম। আর এই সময় সুন্দরবনে বাংলাদেশি জলদস্যুদের উৎপাত রুখতে এবার কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করল বন দফতর। জলদস্যুদের হাত থেকে মধু সংগ্রহকারী মৌলেদের বাঁচাতে টানা ৪১ দিন সুন্দরবনের নদী খাঁড়িতে বিশেষ নজরদারি চালাবে বন দফতর।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রে এবার ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের আশায় লাক্ষাদ্বীপ
চলতি এপ্রিল থেকেই সুন্দরবনে সরকারিভাবে মধু সংগ্রহ শুরু হয়েছে। প্রতিবছর এই সময় সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত সজনেখালি ও বসিরহাট দুটি রেঞ্জেই আনুমানিক ৬০০ মৌলে মধু সংগ্রহ অভিযানে নামে। আর বিশেষ করে এই সময়টায় সুন্দরবনে বাংলাদেশি জলদস্যুদের উৎপাত বেড়ে যায় প্রতিবছরই। জঙ্গল থেকে মধু নিয়ে ফেরার সময় মৌলেদের নৌকায় হানা দেয় তারা। গতবছরই জলদস্যুদের এই অবাধ লুঠতরাজ রুখতে ‘অপারেশন গোল্ডেন হানি’ নামে বিশেষ নজরদারি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু নজরদারি এড়িয়ে একাধিকবার বাংলাদেশি জলদস্যুরা মৌলেদের উপর হামলা চালিয়েছে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করে আনা মধু চোখের নিমেষে লুঠ করে নিয়েছে তারা। যদিও বন দফতরের তৎপরতায় বেশ কয়েকজন জলদস্যু ধরাও পড়েছিল।
আরও পড়ুন-লাহোরে গুলিতে নিহত সরবজিতের খুনি সরফরাজ
সূত্রের খবর, গত একবছরে ১৮ জন বাংলাদেশি ডাকাত ধরা পড়েছে সুন্দরবন এলাকায়। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে নজরদারি। মূলত বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সুন্দরবনে ঢোকার সমস্ত পথেই নজরদারি চালানো হচ্ছে। বনকর্মীদের ৭টি বিশেষ দল ভুটভুটিতে করে নজরদারি শুরু করেছেন। মধু সংগ্রহের আগেই যাতে বাংলাদেশি ডাকাতরা এলাকায় ঢুকে ওত পেতে বসে থাকতে না পারে, তাই অভিযান শুরুর আগে থেকেই নজরদারি শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন। বন দফতরের এই উদ্যোগে খুশি মৌলেরাও।