প্রতিবেদন : রাজ্যে প্রথম পয়লা বৈশাখের দিন পালিত হল পশ্চিমবঙ্গ দিবস। নির্বাচনী আচরণ বিধি জারি থাকায় রাজ্যে সরকারের ওই অনুষ্ঠানে শুধু সরকারি আধিকারিকরাই উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় রাজ্যসঙ্গীত ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ দিয়ে। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা। তিনি বলেন, প্রত্যেক রাজ্যের নিজস্ব রাজ্য দিবস আছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ বাংলায় এই দিন পালিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন-মৌলেদের বাঁচাতে কড়া নজরদারি সুন্দরবনে
উপস্থিত ছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়, জয় গোস্বামী, সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়, বিজয়লক্ষ্মী বর্মন, সুবোধ সরকার, শিবাজি চট্টোপাধ্যায়, অরুন্ধতী হোম চৌধুরী, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়, লোপামুদ্রা মিত্র, রূপঙ্কর বাগচী, শ্রীজাত, জয়তী চক্রবর্তী-সহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের আয়োজনে বাংলার প্রতিষ্ঠাদিবসে জমজমাট ছিল কলকাতার অন্যতম সাংস্কৃতিক পীঠস্থান রবীন্দ্রসদন-নন্দন চত্বর। নববর্ষের সকাল থেকে কল্লোলিনী কলকাতার বড় রাস্তা থেকে শুরু করে আনাচে কানাচে শোনা গিয়েছে কবিগুরুর গান। কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডেই রাজ্য দিবস উদযাপন করা হয়। এদিন বিকেল থেকেই প্রেক্ষাগৃহে ভিড় বাড়তে থাকে। বাংলা দিবস উদযাপনের জন্য গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বিধানসভায় বাংলা দিবস পালনের প্রস্তাব পাশ করানো হয়। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটিই প্রস্তাব দেয়, ১ বৈশাখ পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হোক। সেইমতো বাংলার সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে নাচে-গানে জমজমাট বাংলার প্রতিষ্ঠাদিবস উদযাপন।