সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : চৈত্র সংক্রান্তিতে বর্ষবিদায় জানাতে জহরবেদিতে সাদা আলপনা এবং তা শেষ হতেই শুরু বর্ষবরণ উৎসব। শান্তিনিকেতনে মন্দির অনুষ্ঠানের পর ছোটরা আজও গুরুজনদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে। বড়রাও যান গুরুজনদের প্রণাম করতে। পরম্পরা চলে আসছে। তবে, বর্ষবরণ আর মেঠাই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর জানান, স্বয়ং প্রতিমাদেবীর হাত থেকে তিনি মিষ্টি নিয়েছেন। এবার ভাবগাম্ভীর্য কিছুটা তাল কেটেছে ঘণ্টাতলায় অনুষ্ঠান চলাকালীন কয়েকজনের মোবাইলে কথা বলায়। ভোর পাঁচটায় গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিকের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বর্ষবরণ।
আরও পড়ুন-বারাসতে কাকলির মঙ্গল শোভাযাত্রায় মানুষের ঢল
সকাল সাতটায় উপাসনাগৃহে হয় উপাসনা। সকাল নটায় ঘণ্টাতলায় হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। গৌরপ্রাঙ্গণে সন্ধে সাড়ে ছ’টায় নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা হয়। অংশ নেন শিক্ষাসত্রের পড়ুয়ারা। আগে বর্ষবরণ ও গুরুদেবের জন্মদিন একসঙ্গে পালিত হত। কারণ, প্রচণ্ড গরম ও জলকষ্টে বিশ্বভারতীতে ছুটি পড়ে যেত। অর্থাৎ ২৫ বৈশাখ ছুটি থাকত। এখন ২৫শে বৈশাখে আলাদাভাবে গুরুদেবের জন্মদিন পালিত হয়। বিশ্বভারতীতে প্রথম নববর্ষ পালিত হয় ১৯৩৬-এর ১৫ এপ্রিল। বাংলা ১৩৪৩ সালে। ১৯৪১-এ বর্ষবরণের দিন কবির জীবদ্দশায় শেষ জন্মদিন পালিত হয়। শান্তিনিকেতনের বাইরে হালখাতার পুজো। তারাপীঠ, নলহাটি, কঙ্কালীতলার ভিড় দেখা যায়।