ইজরায়েলের (Israel-Iran) উপর ‘আঘাত হানা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না’ বলে রাষ্ট্রসংঘে বৈঠকে দাবি ইরানের প্রতিনিধিদের। এমনকি রাষ্ট্রসংঘের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। যদিও ইজরায়েল থেকে আমেরিকা-ইংল্যান্ড ইরানের এই হামলা নিন্দা করেছে। রাষ্ট্রসংঘের কাছে ইজরায়েল দাবি জানিয়েছে ইরানের উপর সবরকম বিধিনিষেধ জারি করার।
রাষ্ট্রসংঘের জরুরি নিরাপত্তা বৈঠকে ইজরায়েলের (Israel-Iran) ইউএন অ্যাম্বাসাডর গিলাদ এরদান দাবি করেন, “মুখোশ খুলে গিয়েছে। বিশ্বের একনম্বর আতঙ্কবাদীদের মদতদাতা ইরান নিজেদের আসল রূপ দেখিয়েছে বিশ্বের এই এলাকাকে অশান্ত করে”। এরপরেই তিনি দাবি করেন যেহেতু মুখোশ খুলে গিয়েছে, তাই দস্তানা পরার সময় এসে গিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘকে ‘পদক্ষেপ’ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
পাল্টা রাষ্ট্রসংঘে ইরানের প্রতিনিধি আমির সইদ ইরাভানি দাবি করেন রাষ্ট্রসংঘ তাঁর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে, ব্যর্থ হয়েছে আন্তর্জাতিক শান্তি বজায় রাখতে। তিনি বলেন, “সময় এসেছে নিরাপত্তা পরিষদের নিজের কাঁধে দায়িত্ব নেওয়ার এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য প্রকৃত বিঘ্নকারীকে চিহ্নিত করার”। এমনকি ইজরায়েলের উপর হামলা ইরানের নিরাপত্তার স্বার্থে অধিকার বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন-যেমন তেমন ভোট নয়, দেশের স্বাধীনতা রক্ষার লড়াই: বিজেপিকে হটানোর বার্তা দলনেত্রীর
রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিও গুয়েতরেজ যদিও ইরানের সাফাইয়ে কর্ণপাত করেননি। তিনি বলেন, “মধ্যপ্রাচ্য খাদের ধারে দাঁড়িয়ে। ওই এলাকার বাসিন্দারা বাস্তব ধ্বংসাত্মক ও খোলাখুলি সংঘাতের মধ্যে রয়েছেন। এখন সময় হয়েছে বিষয়টিকে আর বাড়তে না দিয়ে পিছিয়ে আসার”। সেক্রেটারি জেনারেল ইজরায়েলের উপর ব্যাপক ইরানীয় হামলা নিন্দা করেন।
এই পরিস্থিতিতে ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। ইরানের নিরাপত্তার যুক্তি সমর্থন করলেও হামলার নিন্দা করা হয়েছে ইংল্যান্ডের পক্ষ থেকেও। অন্যদিকে আমেরিকা সহ গোটা ইউরোপীয়ান কাউন্সিল ইরানকে হামলা থেকে বিরত থাকার পক্ষ রায় দিয়েছে। ইরান ইজরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতিত প্রমাদ গুণছে জর্ডন। দেশের কূটনীতিকদের আশঙ্কা এবার হামলা শুরু হতে পারে তাঁদের দেশেও।