আর্থিকা দত্ত, জলপাইগুড়ি: এবার জলপাইগুড়িতে জিতছে তৃণমূলই (TMC)। এতদিন বিভিন্ন কারণে অন্যদের যাঁরা ভোট দিয়েছেন এবার তাঁরাও তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভোট দেবেন। সোমবার জলপাইগুড়ির প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় ও জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপকে পাশে নিয়ে বললেন আত্মবিশ্বাসী তৃণমূলে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার।
সোমবার জলপাইগুড়ির তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দু’জনে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা-মাটি-মানুষের সরকারের ১০০ শতাংশ উন্নয়ন যদি প্রতিটি বুথে প্রতিটি ঘরে পৌঁছে থাকে, তবে প্রতিটি বুথেই তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) লিড পেতে চলেছে। ১০০% ভোট পেতে চলেছে। বিজেপি এখান থেকে ভোট নিয়ে কিছুই করেনি। গত দশ বছরে বাংলা থেকে একজনও বিজেপির পূর্ণ মন্ত্রী হয়নি। বিজেপির যাঁরা এখান থেকে জিতেছেন তাঁদের মোদি-শাহরা পূর্ণ মন্ত্রী করার যোগ্যই মনে করেননি। তবে মানুষ কী করে যোগ্য মনে করবেন তাঁদের! সাফ কথা কুণাল ঘোষের। তাঁর সংযোজন, এরা বাংলা থেকে ভোট নিয়েছে, জলপাইগুড়ি থেকে ভোট নিয়েছে তারপর দিল্লিতে গিয়ে বাংলাকে ভাতে মারার জন্য চিঠি লিখেছে। বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাসের বাড়ির টাকা আটকেছে। সেই টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপাইগুড়িতে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ে এতগুলো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেন, মাঝরাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের দরজায় হাজির হয়েছিলেন, পাশে থেকেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছেন। অথচ প্রধানমন্ত্রী এখানে সভা করতে এসে অনেক কথা বলেছেন, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। দুর্নীতি ইস্যুতে বিজেপিকে তোপ দেগে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, যে শুভেন্দু অধিকারী এখন বড় বড় কথা বলে, আমি যখন বিজেপিতে ছিলাম সেই সময় বিজেপি রাজ্য দফতরে বসে তার নারদের টাকা নেওয়ার ভিডিও আমি দেখিয়েছিলাম। এই শুভেন্দু গদ্দার যে বৈঠকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বাংলাকে টাইট দেওয়ার জন্য ভাতে মারার কথা বলেছিল, সেই বৈঠকে আমি ছিলাম। আমি দেখেছি কীভাবে বাংলায় মন্বন্তরের উদাহরণ টেনে বাংলাকে একেবারে টাইট দিয়ে বিজেপির দিকে টেনে আনার ষড়যন্ত্র করেছে এরা। বিজেপি বাংলা বিরোধী।
আরও পড়ুন- সিডনিতে শপিং মলের পর চার্চে হামলা আততায়ীর, আহত বহু
কুণাল বলেন, মোদি ৫০০ টাকা বাড়িয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫০০ টাকা বাড়িয়েছেন। কিন্তু তফাত হল মোদি ৫০০ টাকা বাড়িয়েছেন রান্নার গ্যাসে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িয়েছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে। এবার মানুষ বিচার করবেন তাঁরা কাকে ভোট দেবেন। স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, বার্ধক্যভাতা, বিধবাভাতা এই ধরনের একের পর এক সরকারি প্রকল্প পরিষেবা মানুষের জন্য প্রত্যন্ত জায়গায় ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সরকার। আর বিজেপি এখানে টাকা ছড়িয়ে ভোট কিনতে চাইছে। পুলিশের নাকা চেকিংয়ে বিজেপির দুই নেতা-নেত্রীর গাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই ধূপগুড়িতে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন মহকুমা হবে। রাজ্য সরকার মহকুমা করে দিয়েছে। আমাদের বিশ্বাস জলপাইগুড়ি জিতছে তৃণমূলই।