প্রতিবেদন: নিজেদেরই মহিলাপ্রার্থীর মন্তব্যে নির্বাচনের মুখে রীতিমতো ফ্যাসাদে পড়ে গেল বিজেপি। মোদি হাওয়ার গল্প ফেঁদে ভোটারদের বিভ্রান্ত করে যখন কোনওরকমে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে তারা, ঠিক তখনই মহারাষ্ট্রের অমরাবতী কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ এবং বিজেপি প্রার্থী নবনীত রাণা বলে দিলেন সত্যি কথাটা— এবারে আদৌ কোনও মোদি-হাওয়া নেই। তিনি বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপির পক্ষে লড়াইটা এবারে সত্যিই খুব কঠিন। নিজেরা সতর্ক না হলে যে কোনও মুহূর্তেই ঘটতে পারে বিপর্যয়। আর তাঁর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করতে বিন্দুমাত্র সময় নেয়নি বিরোধী শিবির। নবনীতের বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হতেই মহারাষ্ট্রে এটিকে রীতিমতো নির্বাচনী ইস্যু করে বিজেপি-জোটকে কোণঠাসা করতে নেমে পড়েছে বিরোধীজোট মহাবিকাশ আগাধি।
আরও পড়ুন-এবার সরব রাজন
নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র অমরাবতীতে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী কোনও রাখঢাক না করেই মন্তব্য করেন, মোদি-ঢেউয়ের বিভ্রান্তিতে ভুগবেন না। লোকসভা নির্বাচনকে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন মনে করে লড়াইতে নামতে হবে আমাদের। দুপুর ১২টার মধ্যে সমস্ত ভোটারকে বুথে নিয়ে গিয়ে বলতে হবে ভোট দিন। তাঁর কথার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নবনীত আরও যা বলে বসলেন, তাতে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি নিঃসন্দেহে গভীর থেকে গভীরতর হল। নবনীত মনে করিয়ে দিলেন, ২০১৯-এ প্রকৃত অর্থেই মোদির পক্ষে হাওয়া ছিল। কিন্তু তবুও আমি একজন নির্দল প্রার্থী হিসেবেই জিতেছিলাম। লক্ষণীয়, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে নির্দল নবনীতকে মদত জুগিয়েছিল অবিভক্ত এনসিপি। অর্থাৎ নবনীত একজন বিজয়ী প্রার্থী হয়েও বুঝিয়ে দিলেন মোদির ভরসায় নির্বাচনে লড়লে হতে পারে ভরাডুবি। তাই লড়তে হবে নিজেদের জোরেই।
আরও পড়ুন-এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রেলারে গাড়ির ধাক্কা, হত ১০
একথা শুনেই শারদ পাওয়ারের এনসিপি এবং বাল ঠাকরের শিবসেনার প্রতিক্রিয়া, আসলে বিজেপির সবস্তরের সবাই রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন। সেই কারণেই সত্যিকথাটা স্পষ্টভাবে প্রকাশ্যে বলে ফেলেছেন ওদের প্রার্থী নবনীত। উদ্ধবগোষ্ঠী শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের মন্তব্য, ভুলে যান মোদি হাওয়ার গল্প। মোদি নিজের আসনটা আদৌ বাঁচাতে পারবেন কিনা, দেখার বিষয় সেটাই। উদ্ধব ঠাকরের দাবি, সারাদেশে বিজেপি সবমিলিয়ে পাবে বড়জোর ৪৫টি আসন। যেখানে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই বিরোধীজোট ৪৮টি আসন পাবে বলে দাবি মহাবিকাশ আগাধির।