প্রতিবেদন : ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি অদম্য জেদ ছিল অশোকনগর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ পরিবারের মেয়ে ব্রততী দত্তর (Bratati Dutta)। সেই জেদকে সম্বল করেই সর্বভারতীয় ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন এই মেধাবী তরুণী। দ্বিতীয়বার ইউপিএসসি দিয়ে সাফল্যও মিলেছে ব্রততীর। সর্বভারতীয় এই পরীক্ষায় তাঁর র্যাঙ্ক হয়েছে ৩৪৬। ব্রততীর এই সাফল্যে রীতিমতো উল্লসিত পরিবার-প্রতিবেশী। বাবা গৌরহরি দত্ত ও মা অপর্ণা রাহা দত্ত মেয়ের এই ফলে প্রায় বাকরুদ্ধ বলা যায়। এই সর্বভারতীয় পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার। প্রথমবার স্নাতকোত্তর ক্লাস চলাকালীন এই পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তবে সেবার সাফল্য আসেনি। কিন্তু ২০২৩ সালে দ্বিতীয়বার সর্বভারতীয় ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসে মেধার জোরে আশাতীত ফল পেয়েছেন তিনি। ছেলেবেলা কেটেছে অশোকনগরে। এলাকার এক চিকিৎসকের সহায়ক হিসেবে কাজ করেন ব্রততীর বাবা। আর মা কৃষি দফতরের কর্মী। ব্রততীর পড়াশুনো বাণীপুর জওহর নবোদয় আবাসিক স্কুলে। স্নাতক স্তরে ভর্তি হন বিশ্বভারতীতে কৃষি বিষয়ক পড়াশোনার জন্য। এর পর ওড়িশায় সিড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন স্বর্ণপদক পেয়ে।
ছোট থেকেই মেধাবী ব্রততীর (Bratati Dutta) লক্ষ্য ছিল প্রশাসনিক পদে চাকরির। তাই ইউপিএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা নেন। দু’দিন আগেই গত মঙ্গলবার গত বছরের পরীক্ষার ফল বেরোলে দেখা যায় সফল হয়েছেন মধ্যবিত্ত মেয়েটি। পরের লক্ষ্য আইএএস হওয়া। ফুড সেফটি অফিসার হিসেবে চাকরি করেন। ইউপিএসসিতে পাশ করার জন্য রাজ্য সরকারের সত্যেন্দ্রনাথ টেগোর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টারের ভূমিকা অসীম বলে জানান অশোকনগর তথা বাংলার গর্ব ব্রততী দত্ত।
আরও পড়ুন- জরুরি পরিষেবার আব্দার ৪ ঘণ্টায় মেটালেন শতাব্দী, বসল নয়া ট্রান্সফর্মার