প্রতিবেদন : ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে কোচবিহার কিংবা আলিপুরদুয়ারে যাওয়ার চেষ্টা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোসকে সতর্ক করে দিল। তৃণমূলের স্পষ্ট কথা, রাজ্যপালের পদকে নোংরাভাবে বিজেপির হয়ে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন না। বুধবার রাজ্যপাল জানান, তিনি বৃহস্পতিবার কোচবিহার যাবেন। প্রতিবাদ জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। কমিশনেও অভিযোগ জানানো হয়। কমিশন রাজ্যপালকে না যেতে অনুরোধ করে। কিন্তু রাজ্যপাল চেষ্টা চালিয়ে যান কোচবিহার আর আলিপুরদুয়ারে যাওয়ার। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল তোপ দেগে বলেছে, রাজ্যপাল রাজনৈতিক অপচেষ্টা করছেন। বিজেপির প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট তিনি। প্রচার শেষ হয়ে যাওয়ার পর রাজ্যপালের (Governor) আবদার সেখানে ঘুরতে যাবেন। তিনি কে? কমিশনের কে? ওই এলাকার ভোটারও নন। নির্বাচনের সময় পুরো দায়িত্ব তো কমিশনের। রাজ্যপাল কী করবেন? কেন করবেন? এ তো বিধিভঙ্গ। ওটা কি রাজনৈতিক পর্যটকদের জায়গা?
আরও পড়ুন- সর্বভারতীয় পরীক্ষায় সফল অশোকনগরের মধ্যবিত্ত মেয়ে
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ আরও কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেছেন, রাজ্যপাল বিজেপির প্রতিনিধি, দিল্লির দূত। উনি আসলে ওখানে পরোক্ষে বিজেপির প্রচার করতে চাইছিলেন। আর যদি জোর করে কোথাও যান, তাহলে অনভিপ্রেত পরিস্থিতি তৈরি হবে। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যপাল পদকে সম্মান করে। একাধিক বিষয়ে তাঁর কাছে তৃণমূল কংগ্রেস যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েকবার গিয়েছেন। দিল্লিকে বলার জন্য অনুরোধও করা হয়। কিন্তু দিল্লি সাড়া দিচ্ছে না। এনআইএ অফিসারকে বিজেপি নেতা নামের তালিকা দিয়ে আসছে, রাজ্যপালকে বলা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা হয়নি। দিল্লির নির্দেশ উনি পালন করেন, কিন্তু দিল্লি ওঁর কথা শোনে না। ওঁর পিস রুমও নির্বাচনবিধি ও আচরণবিধি বিরোধী। কিন্তু তিনি যেভাবে কোচবিহার যেতে চেয়েছেন তা আসলে অস্বস্তিকর, অস্বাস্থ্যকর, অনভিপ্রেত রাজনৈতিক অপচেষ্টা।