প্রতিবেদন : বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে শিশুদের চিকিত্সার নানা সরঞ্জাম কিনতে টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার প্রস্তুতিতেই এই উদ্যোগ। অতিমারির এই পর্যায়ে শিশুদের সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাই আগে থেকেই হাসপাতালে শিশুদের জন্য শয্যার সংখ্যা বাড়িয়ে রাখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সব জেলার সরকারি হাসপাতালে শিশু-চিকিত্সার উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরির ওপরেও বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই পর্যায়ে শিশুদের চিকিত্সার নাানা সরঞ্জাম কিনতে প্রায় ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই টাকায় হাসপাতালের সিসিইউ, পিআইসিউগুলিতে বাইপ্যাপ-সহ নানা সরঞ্জাম কেনা হবে। ইতিমধ্যেই শিশুদের চিকিত্সার জন্য রাজ্যে ১ হাজার ৫৫০টি সিসিইউ (ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট), ৫২৮টি পিআইসিইউ (পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) ও ২৭০টি এনআইসিইউ (নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) শয্যা তৈরি রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন : কলকে পাবে না বিজেপি: সায়ন্তিকা
শিশুরা আক্রান্ত হলে যাতে হাসপাতালে শয্যার অভাব না হয় তার জন্য ২ হাজার ৩৪৮টি শয্যা (সিসিইউ, পিআইসিইউ ও এনআইসিইউ মিলিয়ে) তৈরি রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া বাড়ানো হচ্ছে এসএনসিইউ (সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট) শয্যার সংখ্যাও। ১৬০টি শয্যা বাড়িয়ে মোট ২ হাজার ৪৭৬টি এসএনসিইউ শয্যা তৈরি রয়েছে। শুধু শয্যার সংখ্যা বাড়ানো নয়, চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ ও ওষুধ মজুত রাখার দিকেও জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, নার্স ও অন্যান্য কর্মীদের প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটিতে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। এই কমিটির সুপারিশ মেনে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত রাখারও পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ ছাড়া আশা কর্মী ও গ্রামীণ এলাকায় কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের আলাদা করে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।