লখনউ : ঋষভ পন্থ যদি টি ২০ বিশ্বকাপে অটোমেটিক চয়েস হন, তাহলে দ্বিতীয় উইকেটকিপারের লড়াই কে এল রাহুল ও সঞ্জু স্যামসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। শুক্রবার লখনউ অধিনায়ক একটু হলেও পিছনে ফেলে দিলেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ককে।
৫৩ বলে ৮২ রান করে রাহুল সিএসকের বিরুদ্ধে লখনউ সুপার জায়য়ান্টসের জয়ের রাস্তা সহজ করে দেন। ১৭৭ রানের টার্গেট সামনে রেখে এক ওভার বাকি রেখে জিতল এলএসজি। রাহুল ন’টি চার, তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ওপেন করতে আসা কুইন্টন ডি’কক করেছেন ৫৪ রান। দু’জনের জুটিতে উঠেছে ১৩৪ রান। বাকিটা নিকোলাস পুরান (২৩ নট আউট) ও মার্কাস স্টোইনিস (৮ নট আউট) মিলে তুলে দিয়েছেন। ৮ উইকেটে জিতেও লখনউ অবশ্য পাঁচেই থাকল। চেন্নাই আছে তিনে।
এম এস ধোনির ফিটনেস নিয়ে একটু আশঙ্কায় ছিলেন সিএসকে সমর্থকরা। তাঁকে একটি ম্যাচের পর পা টেনে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল। ধোনি অবশ্য পরের ম্যাচেই মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। তবু শুক্রবার থালার নাম টিম লিস্টে দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন সিএসকে সমর্থকরা। এবং তিনি ফ্যানেদের খুশি করে গেলেন ৯ বলে ২৮ রানে নট আউট থেকে।
লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে ধোনির জন্য উৎসাহের শেষ ছিল না সমর্থকদের। এমন ভাবার কোনও কারণ নেই যে এঁরা সবাই চেন্নাই থেকে এসেছেন। ধোনি সর্বত্র এমনই ভালবাসা পান। যেমন লখনউয়ে পেলেন। এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত ধোনি ৩৫ বল খেলে ৫৯ রান করেছিলেন। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ২৫৬। ক’দিন পর ৪৩-এ পা দেবেন। এখনও আগের মতোই ব্যাট করছেন। স্ট্যাম্প করছেন। ক্যাচ নিচ্ছেন লাইটনিং স্পিডে।
আরও পড়ুন: বিদেশে গিয়ে বিপাকে দু’ভাই আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে
শুক্রবারের ম্যাচে লখনউ টসে জিতে আগে ব্যাট করতে দিয়েছিল সিএসকেকে। কিন্তু চেন্নাইয়ের শুরুটা ভাল হয়নি। ৪ রানে প্রথম ধাক্কা। ওপেনার রচিন রবীন্দ্রকে (০) বোল্ড করে দেন পেসার মহসিন খান। রাচিনের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেছিলেন অজিঙ্ক রাহানে। এরপর তিনি আর তিনে নামা ঋতুরাজ গায়কোয়াড় দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ৩৩ রানে ফিরে গিয়েছেন ঋতুরাজও। তিনি যশ ঠাকুরের স্বীকার। ক্যাচ নিয়েছেন রাহুল। এরপর ৬৮ রানে ফিরে যান রাহানেও (৩৬)। বোলার ক্রুনাল।
মুশকিল হচ্ছে যে চেন্নাইয়ের মিডল অর্ডার ব্যাটিং প্রায়শই ঠিক ক্লিক করছে না। এদিন যেমন শিবম দুবে (৩) আর সমীর রিজভি (১) খুব তাড়াতাড়ি ফিরে গেলেন। এতে যেটা হল, ৯০ রানে ৫ উইকেট চলে গেল চেন্নাইয়ের। শিবম টি-২০ বিশ্বকাপ দল নির্বাচনের আলোচনায় আছেন। কিন্তু রান নেই। ইমপ্যাক্ট রুলের পাল্লায় পড়ে বলও করতে পারছেন না। পারফরম্যান্স ছাড়া দলে আসবেন কী করে?
জাদেজা অবশ্য খেলে গেলেন। তাঁর ৫৭ নট আউটের জন্যই সিএসকে শেষপর্যন্ত ২০ ওভারে ২৭৬/৬ তুলতে পেরেছে। শেষদিকে দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ হল ধোনিকে ব্যাট হাতে নামতে দেখে। মইন আলি (৩০) আউট হওয়ার পর তিনি নেমেছিলেন। যথারীতি মারকাটারি ক্যামিও করে গেলেন। দুটি চার। দুটি ছয় সহযোগে।