প্রতিবেদন: একেই বলে গাজোয়ারি। হ্যাঁ, শুধুমাত্র গাজোয়ারি করেই মোদিরাজ্যে সুরাট লোকসভা কেন্দ্রটি দখল করে নিল বিজেপি। বাতিল হয়ে গিয়েছে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়ন। মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সব নির্দল প্রার্থীই। এই অবস্থায় বিজেপি প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী ঘোষণা করা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই ঘটনার বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে গুজরাতে এবং দেশের রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীরা সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মোদির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে, টাকা ছড়িয়ে বিজেপি ভোটের আগেই লুঠ করেছে সুরাট। এ গণতন্ত্রের চরম অবমাননা। গোটা দেশে যখন গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের উৎসবে মেতে উঠেছে, মানুষ মুখিয়ে আছেন ইভিএমে নিজেদের স্পষ্ট মতামত জানানোর জন্য, তখন এইভাবে ভোট করতে না দেওয়া মানে মানুষকে বঞ্চিত করা গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে।
আরও পড়ুন-হিংসা-বিধ্বস্ত মণিপুরে ফের ভোট হল ১১ বুথে, বুধবার পুনর্নির্বাচন অরুণাচলের ৮টি বুথেও
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া প্রার্থী জয়ী ঘোষিত হওয়ার আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি এক্স হ্যান্ডেলে সুরাট-জয়ের ঢাক পিটিয়েছেন। জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এর থেকেই পরিষ্কার বোঝা যায়, পুরো বিষয়টাই গেরুয়া শিবিরের পূর্বপরিকল্পিত। সত্যিই মুখোশ খসে পড়ল মোদি এবং তাঁর দলের। লক্ষণীয়, অরুণাচলে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই প্রায় একইভাবে প্রায় ১০টি আসন বেদখল করেছে বিজেপি। কী বলছে নির্বাচন কমিশনের সূত্র? সুরাট কেন্দ্রে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন মোট ৮ প্রার্থী। কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশ কুম্ভানির মনোনয়নপত্রে ত্রুটির কারণে স্ক্রুটিনিতে তা বাতিল হয়ে যায় রবিবারই। বাতিল করে দেওয়া হয় কংগ্রেসের বিকল্প প্রার্থীর মনোনয়নপত্রও। এরপরেই একে একে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন সব নির্দল প্রার্থীই। এমনকী সরে দাঁড়ান বহুজন সমাজ পার্টির প্রার্থীও। সোমবারই ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে ধুলোয় মিশিয়ে দিল বিজেপি।