প্রতিবেদন : ‘একে একে খসিছে তারা/হাওয়া মোরগ হয়ে এসেছিল যারা।’ দু’টি লাইন ঘুরছে বিজেপি শিবির জুড়ে। কার্যতই গেরুয়া শিবিরে এখন বড় দুঃসময়। চলছে বিয়োগমেলা। নেতারা বলছেন, রোজ আতঙ্কে থাকি। সকালে উঠে কে ছেড়ে গেল তা শোনার জন্য। পরপর দেউটি নেভার গল্প এখন মুরলীধর সেন লেনের অফিসে। শুরুটা হয়েছিল মুকুল রায়, শুভ্রাংশু রায়কে দিয়ে। তারপর জনা সাতেক বিধায়ক, জনা দুই সাংসদ। কেউ ঘরে ফিরেছেন, কেউ গেরুয়া শিবির ছেড়েছেন। দু’দিন আগে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি ছেড়ে ঘরে ফিরেছেন। অভিনেতা এবং কেন্দ্রীয় নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সঙ্গে পাঁচ বছরের সম্পর্ক চুকিয়েছেন। এবার অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ট্যুইট করে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করে শ্রাবন্তীর তোপ, বাংলার উন্নয়ন নিয়ে বিজেপি ভাবে না। বাংলার জন্য কাজ করার মনোভাবের অভাব রয়েছে বাংলার বিজেপির। আট মাসের মধুচন্দ্রিমা শেষ! এসব দেখে তথাগত ‘ট্যুইট’ রায় যথারীতি কটাক্ষ করে বলেছেন, আমি তো বলেছিলাম এসব নগরনটীদের দিয়ে কিছু হবে না। যাক, ঘাড় থেকে ভূত নামল।
আরও পড়ুন : মান্যতা পেল তৃণমূলের অভিযোগ, বিপাকে বিজেপি সন্ত্রাস বন্ধ করুন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ত্রিপুরাতে
ভোটের মুখে ১ মার্চ, ঢাকঢোল পিটিয়ে দিলীপ-কৈলাস শ্রাবন্তীর হাতে পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। রফা হয়েছিল প্রার্থী হবেন। হয়েওছিলেন। বেহালা পশ্চিমে রাজ্যের স্টলওয়ার্ট মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। হেরেওছিলেন জবরদস্তভাবে। তারপর আহত এবং অবসৃত। এবং মাস কয়েক পরে জ্ঞানচক্ষুর উন্মীলন। এসব দেখে বিধানসভা ভোটে শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে প্রার্থী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপিতে কেউ থাকতে পারছে না। আর শ্রাবন্তীর অবশেষে বোধোদয় হয়েছে সেটাও জানতে পারলাম। শোনা যাচ্ছে নায়িকা নাকি গোলকধাঁধার পথ ছেড়ে এবার সোজা পথে শাসক শিবিরের আশ্রয় পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন