প্রতিবেদন : একহাজার ঘণ্টা পেরিয়ে গেল। কোথায় কেন্দ্রীয় সরকারের শ্বেতপত্র? তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলেন, গত তিনটি আর্থিক বছরে একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনায় বাংলাকে কত টাকা দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার? কিন্তু অভিষেকের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এতদিনেও শ্বেতপত্র প্রকাশ করে তা জানানোর সাহস পেল না বিজেপি-শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার।
এই নিয়ে বুধবার ফের বিজেপি সরকারকে তোপ দাগল তৃণমূল। দলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা এ নিয়ে মুখ খোলেন। কুণাল বলেন, একহাজার ঘণ্টা পার হতে চলল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, যে বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক। গত তিন আর্থিক বছরে একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনায় বাংলাকে কত টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার? তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য, একুশের নির্বাচনে হারের পর একটা টাকাও দেয়নি বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই ক’বছরে ট্যাক্স বাবদ রাজ্য থেকে কত টাকা নিয়ে গিয়েছে, আর একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনা প্রকল্পে বাংলার কত টাকা বকেয়া রেখেছে তথ্যপ্রমাণ-সহ তার হিসেব দিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক বিজেপি সরকার। কিন্তু একহাজার ঘণ্টা পেরিয়ে গেল এখনও বিজেপি সরকার তা সামনে আনার সাহস দেখাতে পারল না। কুণালের প্রশ্ন, কোথায় সেই শ্বেতপত্র? নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহজিরা বাংলায় এখন ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করেছেন। ছোট-বড় বিজেপি নেতারা অনেক বড় বড় কথা বলছেন। কিন্তু তথ্য প্রমাণ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শ্বেতপত্র প্রকাশ করার যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তার কোনও উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা বিজেপির নেই, কারণ তারা মিথ্যা কথা বলছে। তাই এবারের ভোটে বাংলায় জনগণের গর্জন এবং বাংলা-বিরোধী বিজেপি ও তাদের দুই ভাই সিপিএম ও কংগ্রেস আইয়ের বিসর্জন হবে নিশ্চিত।
আরও পড়ুন-বিজেপি আর ক্ষমতায় আসছে না! ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো
মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা বলেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করছে, তারা বাংলাকে একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা দিয়েছে। এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, কবে কত টাকা তারা রাজ্যকে দিয়েছে তা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জানাক কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা করতে পারল না বিজেপি সরকার। তারা চুপ করে আছে। এতেই পরিষ্কার আপনারা এই বিষয় থেকে নজর ঘোরাতে চাইছেন। এবার বাংলার জনতা এর প্রতিবাদ জানাবে, লড়াই করবে। লোকসভা নির্বাচনে বাংলার জনতা এর জবাব দেবে। বাংলার বিরুদ্ধে যারা বলে, এই নির্বাচনে তাদের বিসর্জন হবে।