প্রতিবেদন : ১৯ এপ্রিল প্রথম দফা ভোট হয়েছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের ভোট মিটেছে। আজ ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোট। রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, দার্জিলিং কেন্দ্রে ভোট। দ্বিতীয় দফার ভোট ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় সেজেছে ওই তিন কেন্দ্র। এই দফার ভোটে রাজ্যে মোট ২৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বহিরাগতদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করে না পুরুলিয়া, এবার তৃণমূলের ফল ভাল হবে
এর মধ্যে দার্জিলিংয়ের জন্য থাকছে ৮৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বালুরঘাট কেন্দ্রের জন্য থাকছে ৭৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। রায়গঞ্জের জন্য সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে ১১১ কোম্পানি। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে রাজ্য পুলিশও। মোট ১২৯৮৩ জন রাজ্য পুলিশ থাকছে ভোটের কাজে। রায়গঞ্জের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী, বালুরঘাটের প্রার্থী বিপ্লব মিত্র এবং দার্জিলিংয়ের প্রার্থী গোপাল লামা। পাহাড় থেকে সমতলে তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেই প্রচার করেছেন তিন প্রার্থী। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতোই তাঁরা জনসংযোগে দিয়েছেন বিশেষ জোর। সাধারণ মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে তৃণমূলের প্রচার মিছিলে। প্রচার ময়দান একপ্রকার একাই কাঁপিয়েছে তৃণমূল। ময়দানে সেভাবে দেখা মেলেনি বিরোধীদের। বিপুল উন্নয়নে প্রচারেই বিপুল সাড়া মিলিছে। জয়ের ইঙ্গিত পেয়েছে তৃণমূল। বালুরঘাটের সীমান্ত এলাকা, রায়গঞ্জ, দার্জিলিং জেলার পাহাড়-সমতলের মানুষ তৃণমূলের উন্নয়নে খুশি। বিরোধীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে তাই তৃণমূল কংগ্রেসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তৈরি সাধারণ মানুষও। নতুন ভোটার, মহিলা এবং প্রবীণদের মধ্যেও ভোটকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক আলাদা উন্মাদনা। তৃণমূলের বিপুল উন্নয়নই যে জয় আনবে তা সময়ের অপেক্ষা।