প্রতিবেদন : স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সেই অভিযোগ কার্যত খণ্ডন করে দিলেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, আদালতকে যাবতীয় তথ্য সময়ে সময়ে জমা করেছে এসএসসি। সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ফোন আসছে আমার কাছে। এসএসসির তরফে নাকি অযোগ্যদের কোনও তথ্য কোর্টে দেওয়া হয়নি। কিন্তু এটা ভুল। ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর হলফনামা দিয়ে বলি নবম ও দশম মিলিয়ে ৭৭৫ জনের অনুমোদন আমরা প্রত্যাহার করি রুল ১৭ প্রয়োগ করে। বাকি ৩৩ জনের ক্ষেত্রে প্রত্যাহার করা হয়নি।
আরও পড়ুন-আজ তিন কেন্দ্রে ভোট
তিনি আরও জানান, ১০ মার্চ সুপারিশ বাতিল করা হয় আদালতের তরফে। ২০২৪-এর ৫ জানুয়ারি একটি হলফনামা দেওয়া হয়, যেখানে নবম-দশমে ১৮৩ জনের র্যাঙ্ক জাম্প হয়েছে বলে জানাই। একাদশ ও দ্বাদশে ৩৯ জনের র্যাঙ্ক জাম্প হয়েছে জানাই। ২০২০-তে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জানাই যে, ১৬ সালের প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আদালতের নির্দেশে নবম ও দশম মিলিয়ে ১৩০ জনকে ডেকে ইন্টারভিউ করিয়ে চাকরি দিয়েছি। সব মিলিয়ে ৫৩০০ অযোগ্যদের তথ্য ও তালিকা আদালতে দেওয়া হয়েছে।
আদালত ২৬ হাজারের চাকরি বাতিল করেছে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে তাহলে যোগ্য কারা? এই প্রসঙ্গে সিদ্ধার্থবাবু জানান, যেহেতু ৫৩০০ জন অযোগ্যকে আমরা চিহ্নিত করে আদালতে জানিয়ে দিয়েছিলাম, তা হলে আমরা ধরে নিতে পারি বাকি ১৯০০০ জন যোগ্য।
হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি দাখিল করেছে এসএসসি। উচ্চ আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে রাজ্য সরকার। মামলা করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদও।