প্রতিবেদন : চলতি বছরে যে পরিমাণে গরম পড়েছে তাতে বিদ্যুতের চাহিদা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে প্রত্যাশিত সময়ের আগেই। এ বছর রাজ্য জুড়ে তাপমাত্রা চড়ায় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। রাজ্য সরকার সেই চাহিদা মেটাচ্ছে যথাসাধ্য। দেখা যাচ্ছে অন্যান্য বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে এপ্রিল মাসেই বিদ্যুতের চাহিদা সর্বাধিক হয়েছে। গত বছর জুন মাসে যেখানে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৯২০০ মেগাওয়াট। সিইএসসি’র বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২৬০০ মেগাওয়াট। সেই তুলনায় চলতি মরশুমে আরও প্রায় ৬-৭ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এই চাহিদা সর্বকালীন নজির। দেখা যায় সাধারণত বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে জুন মাসে। কিন্তু এ বছর সেই সময়ও এগিয়ে এসেছে। ২৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছিল এই চাহিদা। তবে শহরতলিতে যাতে কোনওভাবে বিদ্যুৎবিভ্রাট না হয় তার জন্য সদা প্রস্তুত রয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। বিদ্যুৎ মন্ত্রী জানিয়েছেন, কোথাও কোনও লোডশেডিং হচ্ছে না। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি থাকায় বিদ্যুৎবিভ্রাট ঘটছে। কিন্তু তা বিক্ষিপ্ত। দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না। রাজ্যের ২.২২ কোটি গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুতের জোগান দেওয়া সম্ভব হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির কর্মদক্ষতায়। সাধারণ ভাবে রাত ১১টা নাগাদ বিদ্যুতের সর্বাধিক চাহিদা ওঠে। শুক্রবার রাতে চাহিদা উঠেছিল রেকর্ড— ৯৯৩৫ মেগাওয়াটে। অন্যদিকে সিইএসসি-র এলাকায় এই চাহিদা ছিল ২৭২৮ মেগাওয়াট।
আরও পড়ুন- হাসনাবাদে বিজেপি নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ, কোথায় এনএসজি