প্রতিবেদন: ব্রিটেনের স্থানীয় নির্বাচনগুলিতে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগোচ্ছে বিরোধী দল লেবার পার্টি। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের গদি টলমল। সুনকের কনজারভেটিভ পার্টি কার্যত তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে। ফলে পালাবদলের ইঙ্গিত এবার ব্রিটেনের রাজনৈতিক ক্ষমতার অলিন্দে। সেক্ষেত্রে ভোটের আগেই সরে যেতে হতে পারে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে। তলানিতে ঠেকেছে তাঁর জনপ্রিয়তা। ইতিমধ্যেই কনজারভেটিভ পার্টিতে তাঁর উত্তরসূরি খোঁজার কাজ চলছে।
আরও পড়ুন-নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন, নির্বাচন কমিশনে রাহুলের মনোনয়ন বাতিলের দাবি উঠল
এদিকে স্থানীয় নির্বাচনগুলিতে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে চলেছে ব্রিটেনের লেবার পার্টি। ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনের মেয়র নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য জয়ী হয়েছেন পাক বংশোদ্ভূত সাদিক খান। থেকে বিশেষ সংসদীয় নির্বাচনে পরাজয়ের পরে এবার মেয়র নির্বাচনেও পরাজয় কনজারভেটিভ পার্টির। রাজনৈতিক সমালোচকদের পর্যবেক্ষণ, ১৪ বছর পরে দেশের মানুষ ক্ষমতার পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিচ্ছেন। অন্যদিকে ওয়েস্ট মিডল্যান্ড মেয়র নির্বাচনেও লেবার পার্টির রিচার্ড পার্কারের কাছে ১,৫০৮ ভোটে পরাজিত হয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির অ্যান্ডি স্ট্রিট। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে শেষ পর্যন্ত পরাস্ত হতে হয় শাসক দলের প্রার্থীকে। এর আগে গত ১৮ মাসে সাতটি বিশেষ সংসদীয় নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন ঋষি সুনক। গত কয়েক সপ্তাহে স্থানীয় নির্বাচনের ৯৮৫টি আসনের মধ্যে ৪০ শতাংশে পরাজিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থীরা। জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই ২০ শতাংশ আসনে এগিয়ে রয়েছেন লেবার পার্টির প্রার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডে পরাজয় সুনকপন্থীদের কাছে বড় ধাক্কা।মেয়র নির্বাচনে জিতে লেবার পার্টির রিচার্ড পার্কার পূর্বসূরি কনজারভেটিভ পার্টির মেয়রকে কঠিন চ্যালেঞ্জ পেরোনোর জন্য অভিনন্দন জানান। সেইসঙ্গে কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। পরিবহণ ও বাসস্থানের ক্ষেত্রে সরকারি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিও দেন।