প্রতিবেদন : ইলেকশনের সময় কেউ টাকা দিতে এলে টাকা পকেটে রেখে ভোটটা উল্টে দেবেন। বিজেপি টাকা দিয়ে ভোট কেনার খেলায় নেমেছে। আমরা তা নজরে রাখছি। সোমবার বর্ধমান-দুর্গাপুরের সভা থেকে বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনকে একযোগে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কীর্তি আজাদের সমর্থনে প্রচারসভা থেকে তিনি বলেন, দেশে ইলেকশন কমিশন রয়েছে, তা আমরা ভুলেই গিয়েছি! এখন মডেল কোড অফ কন্ডাক্টের নাম বদলে গিয়েছে। ওটা মোদি কোড অফ কন্ডাক্ট হয়েছে। মোদিবাবু যা বলবেন, নির্বাচন কমিশন তা-ই করবে। ঢাল নেই, তরোয়াল নেই, নিধিরাম সর্দার। এই যে বিজেপি, তারা আবার অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের দিয়ে এ রাজ্যে কর্মরত ভিন রাজ্যের পুলিশদের ফোন করাচ্ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরপরই গর্জে ওঠেন। বলেন, মোদিকে হটাব। দেশকে বাঁচাব, শান্তি ফেরাব। ওদের আমরা ভয় পাই না। মনে রাখবেন, চমকালে গর্জে উঠি, গর্জালে বর্ষাই। এই করেই চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এসেছি। এবার মোদি হারছে, বিজেপি হারছে। দেশের মানুষ শান্তি পাবে। কারণ মোদি এলে দেশ বিক্রি করে দেবে। এনআরসি-সিএএ-ইউসিসি করে সবার অধিকার কেড়ে নেবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতবর্ষকে পথ দেখাবে বাংলাই। বাংলায় যত বেশি আসন আপনারা জেতাতে পারবেন, তত মোদি সরকারকে শূন্য করে দেওয়ার পালায় আমাদের খেলা জোরদার হবে।
এদিন বিজেপির প্রার্থীদের আসন বদল নিয়েও কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মোদিবাবু আপনার দলের এক প্রার্থী দার্জিলিং থেকে পালিয়ে বর্ধমান-পূর্বে এলেন। এবার তিনি আবার আসানসোলে। সেই পাঞ্জাবি প্রার্থীকে তৃণমূলনেত্রীর জিজ্ঞাস্য, আমাদের এক পাঞ্জাবি পুলিশ অফিসারকে খালিস্তানি বলার সময় তুমি কী করছিলে? তারপর বলেন, সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া ভোটে দাঁড়াবেন, আর টাকার প্যাকেট ছড়াবেন না তা কি হয়? দিলীপবাবুর এই অবস্থা হয়েছে তা আমি জানতাম না। তিনি একটু উল্টোপাল্টা বলেন, জানতাম। কিন্তু আপনাকে মেদিনীপুরে কেন দিল না? মেদিনীপুরে থেকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে পালিয়ে এলেন কেন? আপনি যে হেরে গিয়ে অন্য জায়গায় পালিয়ে যাবেন না, গ্যারান্টি আছে? কী বলে বেড়াচ্ছেন? সব ইন্ডাস্ট্রি খুলে দেবেন। বছরে ২ কোটি চাকরি দিয়েছেন। উল্টে শিক্ষকদের চাকরি খেয়ে নিচ্ছেন, লজ্জা করে না। দার্জিলিংয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, পাঁচ চা-বাগান খুলে দেবেন, খোলেননি। আপনি তো গ্যাস বেলুন। একজন প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা বলেন, ভাবতে পারেন! কী লজ্জার কথা। একজন মিথ্যেবাদী প্রাইম মিনিস্টার। যত তাড়াতাড়ি দেশ থেকে হটবেন, দেশের মঙ্গল।
আরও পড়ুন: পারিবারিক ঘটনাকে রাজনীতির রং দিতে ব্যর্থ বিজেপির প্রার্থী