প্রতিবেদন : মঙ্গলবার সকাল থেকে বাংলার ৪ কেন্দ্র-সহ দেশের ৯৩টি লোকসভা কেন্দ্রে চলল তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ (Lok Sabha Elections Phase 3)। দুপুর ৩টে পর্যন্ত বাংলাই ভোটের হারে পিছনে ফেলল অন্যান্য রাজ্যগুলিকে। দুপুর ৩টে পর্যন্ত দেশে সার্বিক ভোটের হার ৫১ শতাংশ, সেখানে বাংলার ৪ কেন্দ্র মালদহ উত্তর-দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদে ভোট পড়েছে ৬৩.১১ শতাংশ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত মালদহ উত্তরে ভোট পড়েছে ৭৩.৩০ শতাংশ, মালদহ দক্ষিণে ৭৩.৬৮ শতাংশ, জঙ্গিপুরে ৭২.১৩ শতাংশ এবং মুর্শিদাবাদে ৭৬.৪৯ শতাংশ। আর মানুষের এই স্বতঃস্ফূর্ত ভোটদানে হার নিশ্চিত বুঝেই নখ-দন্ত বের করেছে বিরোধী কংগ্রেস-সিপিএম। ভোট শতাংশে পায়ের নিচের মাটি সরে গিয়ে মেজাজ হারিয়েছে বিরোধী প্রার্থীরা। আবার নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ভোটপ্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীও বিজেপির ক্যাডারের ভূমিকায় নেমে ভোটারদের ধমকে-চমকে গুন্ডাগিরি চালিয়েছে। বিরোধী ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই বিক্ষিপ্ত গুন্ডাগিরির ঘটনার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রায় শতাধিক অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন মালদহের দুই কেন্দ্রেই সকাল থেকে বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে কংগ্রেস-সিপিএমের হার্মাদরা। হারের ইঙ্গিতে মেজাজ হারিয়ে তৃণমূল নেতার গায়ে হাত তোলেন মুর্শিদাবাদের বাম-কং জোট প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। ইসলামপুরের লোচনপুরে নওদাপাড়া ৪০ নং বুথে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মাসাদুল শেখকে সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সেলিম। এলাকায় ঢুকতেই স্থানীয়রা বামপ্রার্থীকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়ায় শেষে মেজাজ হারিয়ে তৃণমূল নেতাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে জঙ্গলে ফেলেন সেলিম। মোহনপুরের ৩৯ নম্বর বুথেও সেলিমকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। অন্যদিকে, বাহিনীকে দিয়ে আরও একটা শীতলকুচি করার হুমকি দিয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতির উপর চড়াও হন জঙ্গিপুরের বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ। অজগরপাড়া ৮৮ নং বুথে ভোটারদের প্ররোচনা দেওয়ায় বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষ। তখনই মেজাজ হারিয়ে রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি গৌতম ঘোষকে ধাক্কা দেন বিজেপি প্রার্থী। খুল্লামখুল্লা ‘আরও একটা শীতলকুচি’ করার হুমকিও দেন ধনঞ্জয়। এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়ে এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল লিখেছে, প্রকাশ্যে আরও একটা শীতলকুচির কথা বলছেন জঙ্গিপুরের বিজেপি প্রার্থী। তাঁর এই হুমকি থেকেই বিজেপির পরিকল্পনা স্পষ্ট। বাংলার প্রতি বিদ্বেষ ওদের বাস্তুতন্ত্রের গভীরে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে ভোটের লাইনে সংখ্যালঘুকে পিটিয়ে খুন, বাংলার গায়ে হাত দিলে হাত গুটিয়ে দেবে মানুষ : নেত্রী