প্রতিবেদন : সোমবার দুপুর থেকে রাত গোটা পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ বিভিন্ন জেলা জুড়ে চলে এই মরশুমের প্রথম কালবৈশাখী। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন জেলায় মারা গেলেন ১২ জন। মৃতদের পরিবারের প্রতি শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ম মেনে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। পূর্ব বর্ধমানে মন্তেশ্বরের নীলমণি মূর্মূ (৫১), কাটোয়া ১-এর উন্নতি মাঝি (৫২), কেতুগ্রাম ১-এর বিশ্বনাথ থান্ডার (৬৮), সুস্মিতা সরেন (৯) এবং রায়না ২-এর শংকর মাণ্ডি (৪৭)।
আরও পড়ুন-কেশপুরে নজর লাগতে দেবেন না, ইমাম মুয়াজ্জেন সভায় বার্তা দেবের
জেলা প্রশাসনের খবর, সোমবার সন্ধ্যায় কেতুগ্রামের পালিটা গ্রামের আদিবাসীপাড়ায় বজ্রাঘাতে মারা যান সুস্মিতা সরেন। কাটোয়া কামালবাগদিপাড়ায় উন্নতি মাঝি ও কেতুগ্রামের খাটুন্দি গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বনাথ থান্ডারেরও মৃত্যু হয় বজ্রাঘাতে। পশ্চিম মেদিনীপুরেও সোমবার চলে কালবৈশাখীর দাপট। তার জেরে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় পিংলার পিন্ডরুই গ্রামের পিন্টু সামন্ত ও ডেবরার ভবানীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিনারায়ণপুরের সুদর্শন বাঁসুলির। নদিয়ায় নাকাশিপাড়ায় ঝড়ের জেরে ইট চাপা পড়ে মৃত্যু হয় দুই শ্রমিকের। গাছ ভেঙে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয় একজনের। পুরুলিয়ার আড়শায় বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে এক গাছের নিচে আশ্রয় নেন তিন পড়ুয়া ও এক যুবক। সেখানে বাজ পড়ে গুরুতর আহত হন চারজনই। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যথেষ্ট। ওভারহেডের তার ছিঁড়ে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে দীর্ঘক্ষণ।