প্রতিবেদন : বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধি মানবে না তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা যখন সীমান্ত নিয়ে বৈঠক করতে কলকাতায়, তখন কোচবিহারের সিতাইয়ে বিএসএফের গুলিতে ৩ জনের মৃত্যুতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। অন্যদিকে দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানালেন, ৫০ কিলোমিটার অবধি বিএসএফকে রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এটা পার্টির সিদ্ধান্ত। এটা স্বাধিকারের প্রশ্ন। রাজ্যের মধ্যে এটা আসলে কেন্দ্রের অনুপ্রবেশ। সংসদের অধিবেশন শুরুর দিন থেকেই আমরা প্রতিবাদ করব। প্রয়োজনে পার্লামেন্ট অচল হবে এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।
শুধু সংসদে নয়, রাজ্য বিধানসভাতেও প্রস্তাব আনছে তৃণমূল কংগ্রেস। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ১৮৫ ধারায় প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। আলোচনা হবে এবং প্রস্তাব পাশ করা হবে। পাঞ্জাবের পর বাংলা হবে দ্বিতীয় রাজ্য, যারা বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করবে।
সীমান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব বৈঠক করতে শুক্রবার কলকাতায় আসেন। তিনি যখন বৈঠক করছেন, তখন বিএসএফের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত কোচবিহারবাসী। অভিযোগ, কোনওরকম প্ররোচনা ছাড়াই সিতাইয়ের চামটা গ্রামে গুলি চালায় বিএসএফ। তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে একজন কোচবিহারের বাসিন্দা। নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যু নিয়ে এলাকা উত্তপ্ত। বিএসএফের দাবি, গরু পাচারে বাধা পেয়ে নাকি হ্যান্ড গ্রেনেড ছুড়েছিল অভিযুক্তরা। যদিও তার প্রমাণ মেলেনি। ক্ষুব্ধ দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহর অভিযোগ— ১. কাঁটাতার দেওয়া রয়েছে। তাহলে বাংলাদেশিরা ঢোকে কী করে?
আরও পড়ুন : Jagaddhatri puja : রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন বার্তা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
যার অর্থ বিএসএফ-ই তাদের ঢুকতে সাহায্য করেছে। ২. গুলি যদি একান্ত চালাতে হয়, তার আগে কেন রাবার বুলেট চালানো হয়নি? ৩. গুলি শরীরের নিচে মারার কথা। তাহলে বুকে কেন মারা হল? ৪. আসলে এই মৃত্যুর পিছনে রয়েছে বিএসএফের বখরা। বখরায় গণ্ডগোল হলেই গুলি চলে। এখানেও তেমনই ঘটনা ঘটতে বাধ্য।
হিডকো ভবনে এদিন দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজিপি, সীমান্তের দশ জেলার জেলা শাসকদের সঙ্গে। সেই বৈঠকে সীমান্তে চেকপোস্ট নিয়ে কেন্দ্র ভুল হিসাব দাখিল করলে তা ঠিক করে দেন। কিছু জেলার নাম ভুল ছিল। চেক পোস্ট ছাড়াও আলোচনা হয় কাঁটা তারের বেড়া লাগানো নিয়ে। এছাড়া স্থলবন্দর তৈরির পরিকল্পনার কথাও জানানো হয়। নেপাল, ভূটান, বাংলাদেশ সীমান্তে মোট ৭টি স্থলবন্দর তৈরি হবে।