সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : জঙ্গলের নিয়ম ভেঙে বন্যজন্তুদের করিডরের মধ্যেই চলছিল রেললাইনের বাঁধ তৈরির কাজ। বারবার অভিযোগের পরেও রেলের তরফে নেওয়া হয়নি ব্যবস্থা। বানারহাটের হাতিনালায় পাথরের বাঁধ তৈরি করে সেই কাজ চলতেই থাকে। ব্যবস্থা নিল বন দফতর। বন্ধ হল কাজ। এই জায়গাটি মূলত হাতিদের। ট্রেনে কাটা পড়ে অনেক হাতির মৃত্যুও হয়েছে এই এলাকায়। বন দফতরের তরফে কিছু নিয়ম বলার পরও সেই নিয়ম মানা হয়নি। এর মধ্যেই আবার লাইনের বাঁধ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় রেল। এই বাঁধ তৈরি হলে হাতির পাশাপাশি অন্যান্য বন্যজন্তুরা নিজস্ব পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হবে। এই কারণেই রেলের এই নিয়ম ভাঙা সিদ্ধান্তে কড়া ব্যবস্থা নিল বন দফতর।
আরও পড়ুন-বিশ্বকাপ বিরাটের প্রাপ্য : যুবরাজ
বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান মোরাঘাট রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা এসিএফ সঞ্চিতা শর্মা, ধূপগুড়ির মহকুমা শাসক পুষ্পা ডোলমা লেপচা, সেচ দপ্তরের বানারহাট সাব-ডিভিশনের এসডিও গৌরব ভৌমিক, বানারহাটের বিডিও নিরঞ্জন বর্মন, জেলা পরিষদের সদস্য সীমা চৌধুরী-সহ রেলমন্ত্রকের অধিকারিকরা। বর্ষায় ভুটান পাহাড়ের বৃষ্টিতে এই এলাকা প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রেললাইনও। তাই এক্ষেত্রে ওই বাঁধের পরিবর্তে বিকল্প ব্যবস্থারও পরিকল্পনা করিছেল সেচ দফতর। তরফে। ভাঙন ঠেকাতে ঠেকাতে খালের দু’পাশে বোল্ডার দিয়ে বাঁধাই করার কাজও শুরু করে ছিল সেচ দফতর। বিস্তীর্ণ এই এলাকায় শিলিগুড়ি থেকে অসম অবধি রয়েছে বিভিন্ন সংস্থার তেলের পাইপ। পাইপলাইনের ক্ষতি হওয়ায় সেগুলিরও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। এখানে উঁচু বাঁধ নির্মাণ হলে সহজে এই পথ পেরিয়ে হাতি যাতায়াত করতে পারবে না। পাশাপাশি এলাকায় হাতির হানা বাড়বে। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে বন দফতরের তরফে রেলকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। ধূপগুড়ির মহকুমা শাসক পুষ্পা ডোলমা লেপচা জানান, হাতি-সহ বন্যজন্তুদের যাতায়াতে যাতে সমস্যা না হয় সেই কথা মাথায় রেখে উঁচু দেওয়ালের বদলে বন্যজন্তুদের চলার উপযোগী সিঁড়ির মতো ধাপ তৈরি করে এই এলাকায় নির্মাণ করার কথা প্রাথমিকভাবে ভাবা হয়েছে।