প্রতিবেদন : দেশের নির্বাচনী আবহের মধ্যেই মোক্ষম ধাক্কা খেল বিজেপি। আপ-সুপ্রিমোকে আটকে রেখে নির্বাচনী ফায়দা লোটার চক্রান্ত একেবারে মাঠে মারা গেল নরেন্দ্র মোদির। শীর্ষ আদালতে অবশেষে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। আগামী ১ জুন পর্যন্ত কেজরির অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ২ জুন তাঁকে আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ১ জুনই শেষ দফার নির্বাচন। শুক্রবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, নির্বাচনে প্রচারে অংশ নিতে পারবেন আপ-সুপ্রিমো। কিন্তু আবগারি মামলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না তিনি। লক্ষণীয়, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ আগেই জানিয়েছিল, নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বিচার করা যেতে পারে কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিনের বিষয়টি।
আরও পড়ুন- জগন্নাথদেবের চন্দনযাত্রা উৎসব, ভক্তের ঢল মাহেশে
কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) জামিন পাওয়ায় গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জননেত্রী বলেছেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল অন্তর্বর্তী জামিন পাওয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। সাম্প্রতিক নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এটি খুবই সহায়ক হবে। কেজরিওয়ালের জামিনের সুপ্রিম-নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন অখিলেশ যাদব, আদিত্য ঠাকরে এবং ফারুক আবদুল্লাও।
এটা ঘটনা, কেজরিওয়ালের জামিন নিঃসন্দেহে বিজেপি তথা গেরুয়া শিবিরের কাছে একটা বড় ধাক্কা। এবং অবশ্যই অক্সিজেন জোগাল আপ এবং ইন্ডিয়া জোটকে।
গত ২১ মার্চ আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছিল ইডি। কয়েকদিন ইডি হেফাজতে থাকার পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে পাঠানো হয়েছিল তিহার জেলে। সেই থেকে তিনি সেখানেই। ইতিমধ্যেই তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি প্রথমে দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টে। কিন্তু সেখানে তাঁর আবেদন খারিজ হওয়ায় তিনি বিচার চাইতে যান সুপ্রিম কোর্টে। আদালতে তাঁর যুক্তি ছিল, যেহেতু দেশে এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে, তাই নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে চান তিনি। কিন্তু জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে ইডি পালটা যুক্তি দেখায়, নির্বাচনী প্রচার মৌলিক এবং আইনি অধিকারের মধ্যে পড়ে না। কিন্তু শেষপর্যন্ত অরবিন্দকে অন্তর্বর্তী জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ ১ মাস ২০ দিন পরে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত হতে চলেছেন কেজরিওয়াল।