প্রতিবেদন: নির্বাচন কমিশনকে ভোটের পরিসংখ্যান প্রকাশের সময়সীমা বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত। এই সংক্রান্ত একটি মামলায় মামলাকারীর আর্জির ভিত্তিতে শুক্রবার আদালত জানিয়েছে, চতুর্থ দফার ভোট শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভোটদানের চূড়ান্ত হার জানানো জরুরি নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচনে স্বচ্ছতার স্বার্থেই আদালতের এই পর্যবেক্ষণ বলে জানা গিয়েছে। ভোটের হার প্রকাশে অযথা বিলম্ব এবং প্রকৃত ভোটের হার নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছে বিরোধীরা। ভোটের হার নিয়ে কমিশনের তথ্যে প্রথম থেকেই সংশয় প্রকাশ করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রশ্ন তুলেছে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই সতর্কবার্তা দিয়েছেন এ ব্যাপারে। এবারে প্রথম দফা ভোটের ১১ দিন পরে এবং দ্বিতীয় দফা ভোটের ৪ দিন পরে প্রকাশ করা হয় ভোটের পরিসংখ্যান। সবচেয়ে রহস্যজনক বিষয়, প্রথম দু’দফার ভোটের যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছিল কমিশন, পরে কোনও এক অজানা কারণে সেই পরিসংখ্যান বদলে আবার নতুন করে তথ্য প্রকাশ করে তারা। এবং দেখা যায় দ্বিতীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভোটের হার আশ্চর্যজনকভাবে বেড়ে গিয়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। এর কারণ জানতে চেয়ে কমিশনকে চিঠি দেয় তৃণমূল। বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রশ্নেরও উত্তর দাবি করা হয়। কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও তোলা হয় একই প্রশ্ন। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্টের। তাদের আর্জির ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে ভোটের হারের পরিসংখ্যান। এদিকে শুক্রবারই এই একই ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনে যায় তৃণমূল-সহ বিরোধীদের একটি প্রতিনিধি দল। ভোটের হারের পরিসংখ্যান নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিংভি, ঝাড়খণ্ড মুক্তিমোর্চার সাংসদ মহুয়া মাজি প্রমুখ।