প্রতিবেদন : বাংলায় প্রচারে এসে ধর্মীয় মেরুকরণের তাস খেলেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে পাল্টা দিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা মুখপাত্র শান্তনু সেন। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, বাংলায় এসে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করে কোনও লাভ হবে না। ভারতের মানুষও এই ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে। আগামী দিনে এই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দেশ থেকে তাড়াবে তাঁরা। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক ভিডিও বার্তায় শান্তনু সেন জানান, হিমন্ত বিশ্বশর্মা একজন সারদার কিংপিন। তাঁর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি শুধু বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে ধোলাই হয়ে গিয়েছেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত হচ্ছে না। আর তিনি বাংলায় এসে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন। তাঁকে এটা মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে, ভারতবর্ষ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।
আরও পড়ুন-জ্যোতির্বেত্তা
তিনি যে বড় বড় কথা বলছেন, তিনি আগে অসমের দিকে তাকিয়ে দেখুন। সেখানে এনআরসি হওয়ার সময় ১৯ লক্ষ বাঙালি হিন্দুর কী পরিস্থিতি হয়েছিল। সেটা তিনি আগে জবাব দিন। তারপর বিজেপির যে এত বড় বড় কথা, কাশ্মীরে হিন্দু পণ্ডিতদের কী অবস্থা? ৩৭০ ধারা রদের পরও কেন বিজেপি তাদের প্রতীকে কাশ্মীরে একটাও প্রার্থী দিতে পারেনি? এই বাংলায় হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান— সব শ্রেণির মানুষের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমানভাবে কাজ করেন। তাই এই বাংলায় ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করতে আসবেন না। এই সাম্প্রদায়িক শক্তি দেশ থেকে এবার বিদায় নেবে।