প্রতিবেদন : নির্বাচনী বন্ড নিয়ে মোদি সরকারের পর্দাফাঁস করতে এবার মুখ খুললেন সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। এই নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিজেপি সরকারের দুর্নীতির খতিয়ান প্রকাশ্যে এনে বারবার সরব হয়েছে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ। এবার মোদি সরকারের গোপনীয় কেলেঙ্কারি তুলে ধরে গর্জে উঠলেন শীর্ষ আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, শুধু টাকা নিয়ে কেলেঙ্কারি নয়, মানুষের জীবন নিয়েও ছেলেখেলা করা হয়েছে। যখন এই বন্ড আনা হয় তখন বলা হয়েছিল, এতে একটি বিশেষ নম্বর লেখা থাকবে যা একমাত্র আলট্রা ভায়োলেট আলোতেই ধরা পড়বে। কেউ যদি বন্ডের মাধ্যমে বিরোধীদের টাকা দিতে চায়, তা অন্য কেউ জানতে পারবে না।
আরও পড়ুন-বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের, শাহের সঙ্গে ছবি কয়লা মাফিয়ার
কিন্তু স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা হওয়ায় সব তথ্যই পৌঁছে যায় মোদি সরকারের হাতে। রীতিমতো তথ্য তুলে ধরে প্রশান্ত ভূষণ বলেন, যেসব সংস্থা বন্ড কিনেছে তাঁদের সরকারি সুবিধার পরিমাণ এক লাফে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। আদিত্য বিড়লা গ্রুপের সুবিধার্থে ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট পলিসি বদলে দেওয়া হয়। এই বন্ডের মাধ্যমে ভারতীয় টেলিকম ১৫০ কোটি দিয়েছিল বিজেপিকে। উপহারস্বরূপ নিলাম ছাড়াই তাদের স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম আলোটমেন্ট দেওয়া হয়। ওষুধ কোম্পানিগুলি হাজার হাজার কোটি টাকার বন্ড কিনেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এরা প্রাণঘাতী ওষুধ তৈরি করে। কিন্তু ড্রাগ রেগুলেটর থেকে বাঁচার জন্য এরা বন্ড কেনার নামে আদতে ঘুষ দেয়। বিশিষ্ট সমাজকর্মী অঞ্জলি ভরদ্বাজ বলেন, দেশের সবথেকে বড় স্ক্যাম এই নির্বাচনী বন্ড। একদিকে যেসব সংস্থার নামে আর্থিক তছরুপের কেস চলছিল তারা বন্ড কেনা মাত্রই সেই কেস বন্ধ হয়ে যায়। যে ওষুধ স্বাস্থ্যের ক্ষতি করবে মনে করে ড্রাগ রেগুলেটরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সেই কোম্পানি কোটি কোটি টাকার বন্ড কিনে মানুষের জীবন নিয়ে বাজারে ব্যবসা করে চলেছে।