আমেদাবাদ, ১২ মে : যশ দয়ালের শেষ ওভারে পরপর পাঁচ ছক্কা মেরে কেকেআরকে জিতিয়েছিলেন রিঙ্কু সিং। গতবছরের ঘটনা। মোতেরায় সেটাই নাইটদের একমাত্র জয়। সোমবার গুজরাট টাইট্যান্সের সামনে ফের কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু রিঙ্কুর পাঁচ ছক্কা এখন আর আলোচনাতেই আসছে না।
যদি কেউ ভাবেন রিঙ্কু রানের মধ্যে নেই বলে আলোচনায় নেই, তাহলে ভুল। আসলে গম্ভীরের হাতে পড়া দল এখন অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো এমন ছুটছে যে, বিকল্প মোটিভেশনের দরকারই পড়ছে না। গুজরাট গতবারের চ্যাম্পিয়ন। তাও। আরও জরুরি তথ্য, বারো ম্যাচে পাঁচটা ম্যাচ জিতে শুভমনরা এখন অষ্টম স্থানে। এক নম্বরে থাকা দলকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জায়গায় তাঁরা আছেন কিনা সেটাই প্রশ্ন।
আরও পড়ুন-ভোটের রাশ মোদি-শাহর হাতে নেই
শনিবার মধ্যরাতে কেকেআর হারিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। কিন্তু আইপিএল এমন চাপের বিষয় যে, রবিবার সন্ধ্যায় আমেদাবাদে নেমে সোমবারই গুজরাট ম্যাচ খেলতে হচ্ছে শ্রেয়স, নারিনদের। তবে কেকেআরের জন্য এই ম্যাচের তেমন গুরুত্ব নেই। তারা ইতিমধ্যেই শেষ চারে চলে গিয়েছে। বরং গুজরাটের জন্য এটা মাস্ট উইন ম্যাচ। বাকি দুই ম্যাচে তারা খুব বড় ব্যবধানে জিতে অলৌকিক কিছুর আশায় থাকতে পারে।
মোতেরায় প্রচুর রান উঠছে। সেটা অবশ্য এবারের আইপিএলের প্রধান বৈশিষ্ট্য। বিশেষ করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচে। সেদিক থেকে দেখলে সল্ট ও নারিনকে নিয়ে চাপের ব্যাপার থাকছে। ইডেনে এই জুটি ব্যর্থ হয়েছে। কে জানে আমেদাবাদেই দুজনের ব্যাট থেকে তুবড়ি ছুটবে কিনা। নাইটদের জন্য দুটো ভালমন্দ ব্যাপার রয়েছে। অনেকগুলো ম্যাচ বাইরে থাকার পর নীতিশ রানা ম্যাচে ফিরে রান পেয়েছেন। আর শ্রেয়সের ব্যাটে রানের খরা অব্যহত রয়েছে।
আরও পড়ুন-অরূপের নেতৃত্বে সায়নীর সভা
চেন্নাই ম্যাচে শুভমন ও সাই সুদর্শন দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু গুজরাটের বোলিং কিছুতেই দাঁড়াচ্ছে না। মোহিত শর্মার ম্যাজিক ফিকে হয়ে গিয়েছে। একা রশিদ কী করবেন। এই দলটা প্রথম ম্যাচ থেকে মহম্মদ শামির অভাব টের পেয়েছে। দলে অভিজ্ঞতার অভাব স্পষ্ট। উল্টোদিকে কেকেআর যত ম্যাচ যাচ্ছে ব্যাটে-বলে কমপ্লিট ব্যালান্স দেখাচ্ছে। সুতরাং ঘরের মাঠ হলেও চাপ থাকছে শুভমনদের উপর। সেটা তারা হেড টু হেড-এ ২-১-এ এগিয়ে থাকলেও।