প্রতিবেদন: বিজেপি ও রাজ্য প্রশাসনের মদতে অবাধে ভোটলুটের অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে। আন্দোলনরত কৃষকদের উপর বিজেপি নেতার গাড়ি চালিয়ে পিষে মারার ঘটনার সাক্ষী এই লখিমপুর খেরি। সেখানে পদ্মের পালে হাওয়া নেই মোটেই। একাধিক অভিযোগ থাকার পরেও কৃষক-হত্যার মূল অভিযুক্তের বাবাকে টিকিট দিয়েছে গেরুয়া দল। কিন্তু বিজেপির পক্ষে সমর্থন নেই বুঝে নির্বাচনের দিন ইভিএম-ভিভিপ্যাটে অবাধে কারচুপি চালাল কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দল। সব জেনেবুঝেও নিষ্ক্রিয় হয়ে রইল যোগী প্রশাসন। সোমবারের ভোটপর্বে লখিমপুর খেরির ভোটাররা অভিযোগ জানালেও কানেই তুললেন না একাধিক বুথের প্রিসাইডিং অফিসার।
আরও পড়ুন-জামিনের আর্জি খারিজ হেমন্তর
গণতন্ত্রের উৎসবে ভোটারদের এক একটি ভোট মূল্যবান বলে প্রচার চালাচ্ছেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। অথচ সেই ভোটারদের সঙ্গেই জালিয়াতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল এদিন। ভোটারদের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশে চতুর্থ দফার নির্বাচনে বেনজির ইভিএম কেলেঙ্কারির জেরে অন্য দলকে ভোট দিলেও তা পড়ে যায় পদ্মফুলের পক্ষে।
লখিমপুরের বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি। তাঁর ছেলে ইচ্ছাকৃতভাবে কৃষকদের উপর দিয়ে গাড়ি চালানোর দায়ে অভিযুক্ত। মন্ত্রীর ছেলের নৃশংসতা উত্তরপ্রদেশের নারকীয় ঘটনাগুলির মধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে। সেই কলঙ্কিত কাণ্ডের পরেও কৃষকহত্যার পাণ্ডার বাবাকে ভোটের টিকিট দিয়েছে বিজেপি। কৃষকদের প্রতি মোদির দলের দৃষ্টিভঙ্গি এই ঘটনাতেই স্পষ্ট। এর পাশাপাশি কৃষক খুনের ঘটনার জেরে এবার লোকসভা নির্বাচনে অনেকটাই চাপে লখিমপুর খেরির বিজেপি প্রার্থী অজয় মিশ্র টেনি। তিনি এটা নিজেও জানেন। এই কেন্দ্রে তাঁর প্রতিপক্ষ কংগ্রেস সমর্থিত ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী উৎকর্ষ বর্মা। সোমবারের নির্বাচনে সকাল থেকেই এই কেন্দ্রে ভোটদানের গতি ধীরে বলে অভিযোগ তোলে সমাজবাদী পার্টি।
আরও পড়ুন-ফোর টোয়েন্টির গ্যারান্টি কাদের জন্য?
বেলা বাড়তেই গোলা গোকর্ণনাথ ও সিংহানিয়া গ্রামের ভোট কেন্দ্রগুলি থেকে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, সমাজবাদী পার্টির প্রতীক সাইকেলের পাশের বোতাম টিপলেও ভিভিপ্যাটে পদ্মফুল দেখাচ্ছে। গোলা গোকর্ণনাথ গ্রামে যে কোনও বোতাম টিপলেই পদ্মফুলে ভোট পড়ছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ভোটদান বন্ধও হয়ে যায় দীর্ঘক্ষণ। এই গ্রামগুলির বিভিন্ন বুথে গরমিলের অভিযোগ তুলে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ইমরান প্রতাপগড়ি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু সিংহানিয়া গ্রামে ভোটের গরমিলের অভিযোগ নেওয়া হয়নি বলে পাল্টা অভিযোগ উঠেছে। ভোটাররা জানান, ইভিএম জালিয়াতির অভিযোগ শুনতেই চাননি কর্তব্যরত প্রিসাইডিং অফিসার।