প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC- ECI)। মোদির বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনকে আবার চিঠি দেওয়া হল দলের পক্ষ থেকে। তৃণমূলের রাজ্যসভার দুই সদস্য সাগরিকা ঘোষ এবং সাকেত গোখেল সম্প্রতি বিভিন্ন জনসভায় মোদির ভাষণ, কথাবার্তা এবং আপত্তিকর মন্তব্যের এদিন তীব্র প্রতিবাদ জানান নির্বাচন কমিশনে। সাগরিকা ঘোষ সাংবাদিকদের সামনে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, আমরা ভয় পাচ্ছি এটা দেখে যে মডেল কোড অফ কনডাক্ট আসলে মোদি কোড অফ কনডাক্টে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আদর্শ নির্বাচনবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এর আগে ৩ বার নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেওয়া হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন। কোনও উত্তরও দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি নির্বাচন সদন।
আরও পড়ুন:কল্যাণী-শ্রীরামপুরে মুখ্যমন্ত্রীর তোপ: মোদির গ্যারান্টি ৪২০, ছুঁলেই ৪৪০ ভোল্ট
তৃণমূলের (TMC- ECI) উদ্বেগ এবং প্রতিবাদ মূলত দুটি বিষয়ে। নির্বাচনে ধর্মের ভিত্তিতে প্রচার এবং বিভিন্ন আর্থিক ঘোষণা— যা আদর্শ নির্বাচন বিধি অনুযায়ী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে বিভিন্ন জনসভায় ঠিক এই দু’টি বিষয়েই বিশেষ জোর দিচ্ছেন মোদি এবং তাঁর দল বিজেপি। অবশ্যই নির্বাচনী ফায়দা লোটার লক্ষ্যে। একবার নয়, বারবার একইভাবে নির্বাচনবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ধর্ম নিয়ে কথা বলছেন, ভাষণ দিচ্ছেন, মানুষকে ভাগ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এমন কিছু শব্দ প্রয়োগ করছেন তিনি যা আদর্শ আচরণবিধিতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী বাছা বাছা শব্দ ব্যবহার করে ভোটের মুখে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করছেন। তিনি নিজে করছেন, তাঁর দলের অন্যান্য নেতারাও করছেন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিভিন্ন আর্থিক প্রকল্পও ঘোষণা করছেন তিনি। নির্বাচনবিধি বলছে, এই ধরনের ঘোষণা কোনওভাবেই করা যায় না। তবুও থামছেন না প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূলের রাজ্যসভার দুই সাংসদ সাগরিকা ঘোষ এবং সাকেত গোখেলের দাবি, এখনই বন্ধ করা হোক এই ধরনের আর্থিক ঘোষণা। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।