প্রতিবেদন: পাহাড়ি রাস্তায় যান চলাচলকে মসৃণ করে তুলতে এবারে আসছে এআই ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। সিকিমে (Sikkim) ২৫ মে থেকেই যান নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ট্রাফিক ব্যবস্থাকে আরও অত্যাধুনিক করে তুলতে এই প্রযুক্তি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিলেও প্রশ্ন উঠেছে কর্মসংস্থানের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না তো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা? কেড়ে নেবে না তো মানুষের রুজি-রোজগার? এটা ঘটনা, শুধু স্থানীয় মানুষের নয়, উত্তর থেকে পূর্ব সিকিমের (Sikkim) প্রতিটি আকর্ষণীয় স্থানে পর্যটকদের নিরাপদে পৌঁছে দিতে এবং পর্যটকদের ভিড় সামলাতে প্রশাসনের অত্যন্ত ভরসার জায়গা হয়ে উঠতে চলেছে এই সিস্টেম।
আরও পড়ুন- সমকামী সঙ্গীকে চড়! বাবাকে খুন করে জ্বালিয়ে দিল ছেলে
পর্যটকদের ভিড় এখন আর কোনও বিশেষ সময় বা ঋতুর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সারা বছরই পাহাড়ি রাস্তায় যানবাহনের চাপ। কিন্তু পর্যটকদের উৎসাহে মাঝেমধ্যেই ভাটা ফেলে দেয় প্রবল বৃষ্টি এবং ধস। বিঘ্নিত হয় যানচলাচল। দুর্ভোগের শেষ থাকে না পর্যটকদের। নয়া ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে এই দুর্ভোগ থেকেই মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা হবে পর্যটকদের। গুরুদংমার থেকে ইয়ুমথাং কিংবা নাথু লা থেকে জিরো পয়েন্ট, প্রতিটি ট্যুরিস্ট স্পটকেই নিয়ন্ত্রণ করবে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজ্যান্স।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে যাতায়াতকারী প্রতিটি গাড়ির কাজগপত্রের বৈধতা খতিয়ে দেখা হবে এই প্রযুক্তির সাহায্যে। গাড়ির বিমা, কর, ফিটনেস এবং দূষণের শংসাপত্র যাচাই হয়ে যাবে এই প্রযু্ক্তির মাধ্যমে। এখানেই শেষ নয়, কোনও গাড়ি ট্রাফিক আইন ভাঙলে সঙ্গেসঙ্গে তা ধরা পড়বে এই প্রযুক্তিতে। সবচেয়ে বড় কথা, বেড়াতে এসে ভ্রমণপিপাসুরা কোনও দুর্যোগপুর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে সেই খবর সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের নির্দিষ্ট দফতরের কাছে পৌঁছে দেবে এআই। ফলে প্রশাসন তরফে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।