প্রতিবেদন : তাঁর দিনযাপন যে আর পাঁচটা মানুষের চেয়ে আলাদা নয়, তা ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের গজাশিমুলের মাঠে আসা জনস্রোত দেখল, অভিভূত হল। আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের মতোই ছিঁড়ে যাওয়া চটিতে সেফটিপিন লাগালেন। আবার মঞ্চে ফিরে নাচলেন আদিবাসীদের সঙ্গে। তিনি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তৃণমূলনেত্রী। বাংলার ঘরের মেয়ে। তিনি দেশের বিরোধী নেত্রী, যাকে ঘিরে ইন্ডিয়া জোট স্বপ্ন দেখছে।
আরও পড়ুন-চারদিন পর চতুর্থ দফার ভোটের হার প্রকাশ কমিশনের, বাংলায় ভোটের হার বেড়েছে
শুক্রবার, ঝাড়গ্রামের গজাশিমুল মাঠে প্রচারমঞ্চে চটি ছিঁড়ে যাওয়ায় নৃত্যে পা মেলাতে পারবেন না ভেবেছিলেন। শেষ পর্যন্ত চেনা ছন্দেই আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে নৃত্যে পা মেলান, ধামসাও বাজান মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে মজা করে বলেন, চটির কোনও দোষ নেই। চটির যা আয়ু, তার থেকে বেশি হেঁটে ফেলেছে। এদিন গান গাওয়ার জন্য ইন্দ্রনীল সেনকে ডাকার পরই জানান, আজ আমি পারব না, চটি ছিঁড়ে গিয়েছে। সেই কথা শুনে আদিবাসী মহিলারা এগিয়ে আসেন। এগিয়ে আসেন দলের নেতা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসাররা। মাইক্রোফোনে শোনা যায়, ছিঁড়েই তো গিয়েছে। তো খালি পায়ে যাব। আর কী! নিয়ে আসতে হবে না। এখন কোথা থেকে নিয়ে আসবে? ইন্দ্রনীল তুমি সেট করো। আমার চটিটা ছিঁড়ে গিয়েছে। সেফটিপিন লাগাই। তারপর মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজেই জুতো ঠিক করতে শুরু করে দেন। চটি সেলাই করতে গিয়ে হাতে সেফটিফিন ফুটে রক্তও বের হয়। তাতেও অবিচল মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে গান ও নৃত্যে তাল মেলান।