বেঙ্গালুরু, ১৮ মে : এভাবেও ফিরে আসা যায়! টানা ছ’ম্যাচ জিতে আইপিএলের প্লে-অফে আরসিবি। তাও আবার গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসকে ছিটকে দিয়ে! কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান রয়্যালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আগেই প্লে-অফে উঠে গিয়েছিল। শনিবার চতুর্থ দল হিসাবে শেষ চারে উঠল আরসিবি।
বিরাট কোহলিরা শনিবার জিতলেন ২৭ রানে। যদিও আসলে আরসিবির জয় ১০ রানে। কারণ জেতার জন্য ২১৯ রান প্রয়োজন হলেও, ২০১ রান তুলতে পারলেই প্লে-অফের টিকিট পেয়ে যেতেন এম এস ধোনিরা। কারণ ম্যাচ হারলেও, নেট রানরেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে শেষ চারে জায়গা করে নিত চেন্নাই। কিন্তু ১৯১ রানেই আটকে গেল চেন্নাই।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৭ রানের। যশ দয়ালের প্রথম বলটাই মাঠের বাইরে উড়িয়ে দিলেন ধোনি। পরের বলও মিড উইকেটের উপর দিয়ে ওড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বপ্নিল সিংয়ের হাতে ধরা পড়ে গেলেন। আউট হওয়ার পর ধোনির অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল যে তিনি দেয়াল লিখন পড়ে ফেলেছেন। গত আইপিএলে রিঙ্কু সিংয়ের হাতে শেষ ওভারে পাঁচ ছক্কা খেয়ে দলকে ডুবিয়েছিলেন দয়াল। এদিন তিনি শেষ ওভারে নায়ক বনে গেলেন। ডু অর ডাই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিলেন বিরাট কোহলি ও ফাফ ডুপ্লেসি। কিন্তু তিন ওভার খেলা গড়ানোর পরেই বৃষ্টির জন্য বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। ফের ম্যাচ শুরু হওয়ার পর স্পিনারদের খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছিলেন বিরাট ও ডুপ্লেসি। কিছু বল পিচে পড়ে থমকে ব্যাটে আসছিল। আবার কিছু বল প্রত্যাশার থেকে বেশি ঘুরছিল। দু’জনের মধ্যে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন বিরাট। কিন্তু ২৯ বলে ৪৭ করে ছয় মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ড্যারিল মিচেলের হাতে ধরা পড়েন তিনি। অন্যদিকে, ৩৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডুপ্লেসি। যদিও ৩৯ বলে ৫৪ করে তিনি রান আউটের শিকার হন।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
এর পরেও যে আরসিবি স্কোরবোর্ডে দুশোর বেশি রান তুলেছিল, তার জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে রজত পাতিদার (২৩ বলে ৪১) ও ক্যামেরন গ্রিনের (১৭ বলে অপরাজিত ৩৮)। শেষদিকে, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৫ বলে ১৬ ও দীনেশ কার্তিক ৬ বলে ১৪ রান করেন। শেষ পাঁচ ওভারে ৮০ রান তুলেছিল আরসিবি। রান তাড়া করতে নেমে, চেন্নাইয়ের হয়ে লড়লেন রাচিন রবীন্দ্র (৩৭ বলে ৬১) ও রবীন্দ্র জাদেজা (২২ বলে অপরাজিত ৪২)। যদিও তা যথেষ্ট ছিল না।