কমল মজুমদার, জঙ্গিপুর: এ বছর অনাবৃষ্টির কারণে মুর্শিদাবাদের পানচাষিদের পাশাপাশি দৌলতাবাদ থানা এলাকার গিরিনগর, ঘাসিপুর, খামারপাড়া, সিদ্দিনগর ও ছুটিপুর এলাকার পানচাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। স্যালো, মোটর, মেশিন থেকে জল কিনে পানের জমিতে সেচ দিয়ে কিছুই থাকছে না। সংসার চালানো, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই পানচাষ টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগিতার আর্জি জানিয়েছেন পানচাষিরা।
আরও পড়ুন-হলদিয়ায় প্রবল বিক্ষোভের মুখে চাকরিখেকো চাকরিচোর শুনতে হল প্রাক্তন বিচারপতিকে
প্রসঙ্গত, চলতি মরশুমে বৃষ্টির দেখা নেই। ফলে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন ব্লকে মার খাচ্ছে পানচাষ। মুর্শিদাবাদ থেকেই ঝাড়খণ্ড ও বিহারে পান যায়। সেই পানের পাতার আকার ছোট হয়ে যাচ্ছে এবং পোকার আক্রমণও দেখা দিয়েছে। ফলে উৎপাদন কমছে। এতে চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। এই পরিস্থতিতে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা ছাড়া কোনও উপায় নেই বলে জানান পানচাষিরা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় পানচাষের উপর নির্ভরশীল প্রায় ৫০০ পরিবার। চাষিরা বলছেন, কখনও অতিরিক্ত ঠান্ডা, কখনও অতিরিক্ত খরা কিংবা ধসা রোগে মার খায় পানচাষ। এই চাষ বাঁচিয়ে রাখতে তাঁরা প্রশাসনিক পদক্ষেপ দাবি করেন। ইসলামপুরে জীবন মোড়ের পানচাষি গোপাল দত্ত বলেন, ‘চোপড়া ঝাড়ে ৩০ বছর পানচাষ করছি। এবার বৃষ্টির অভাবে পানপাতা আকারে ছোট হয়ে যাচ্ছে। গাছ মরে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে এক প্রকারের সাদা মাছির আক্রমণ শুরু হয়েছে। স্যালো চালিয়ে সেচ দিলেও কাজ হয় না। পাতা লাল হয়ে যায়। কদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।’ এসময় রাত ও দিনের তাপমাত্রায় অনেক ব্যবধান থাকছে। ফলে পানের পাতায় দাগ দেখা দিচ্ছে। এজন্য মাঝেমধ্যে ছত্রাকনাশক দেওয়ার কথা বলছে কৃষি দফতর। তাদের মতে, ‘পুরনো বরজগুলিতে পোকার আক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে বলে এ সময় ওষুধের ব্যবহার ও বাগানের সঠিক পরিচর্যা দরকার। প্রধান ফসল নয় বলে এ বিষয়ে দফতরের আলাদা কর্মসূচি নেই। তবে চাষিরা যোগাযোগ করলে আমরা বরজের জন্য নেট শেডের ব্যবস্থা করতে পারি।’