প্রতিবেদন: ‘ম্যানমেড’ দুর্ঘটনা হয়েছে মোদিরাজ্যে। মন্তব্য করল খোদ গুজরাত হাইকোর্ট। রাজকোটের গেমিং জোনে বিধ্বংসী (Rajkot gaming zone fire) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩২ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে ৯ শিশুও। এবার এই দুর্ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করল গুজরাত হাইকোর্টও। দুর্ঘটনার পর থেকেই ওই বেসরকারি গেমিং জোনের নিরাপত্তা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর এমন আবহে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে আদালতে। হাইকোর্টে বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণব এবং দেবান দেশাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা শুনবে বলে সূত্রের খবর।
আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের পরই দ্রুত রাজ্য সরকার ও পুরনিগমের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে গুজরাত হাইকোর্ট। ঠিক কী কারণে ওই বেসরকারি গেমিং জোনকে (Rajkot gaming zone fire) ব্যবসা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল দ্রুত তা হাইকোর্টে জানাতে হবে গুজরাতের বিজেপি সরকারকে। প্রাথমিকভাবে এই দুর্ঘটনাকে ‘ম্যানমেড ডিজাস্টার’ বলে অভিহিত করেছে আদালত। জরুরি ভিত্তিতে সোমবার এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনকে চরম ভর্ৎসনা করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, গুজরাত কম্প্রিহেনসিভ জেনারেল ডেভেলপমেন্ট কন্ট্রোল রেগুলেশনস- এর মদতেই অবৈধ এই গেমিং ব্যবস্থা রমরমিয়ে উঠেছে। তদন্ত শুরু হতেই সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই রিপোর্টেই জানা গিয়েছে, কোনও ফায়ার লাইসেন্স ছাড়াই চলছিল টিআরপি নামের গেমিং জোনটি। পাশাপাশি ওই জোনের একজিট গেটের সংখ্যা ছিল মাত্র একটি। শনিবার সেখানে মাত্রাছাড়া ভিড় হয়। ৯৯ টাকায় বিশেষ ছাড়ে টিকিট মিলতেই বহু মানুষ আসেন গেম খেলতে। কিন্তু আচমকাই আগুন লেগে যায় সেখানে। মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ড। তবে সরকারি তরফে জানানো হয়েছে, আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনই বলা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন- রেমাল: যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাতভর মোকাবিলা করছে প্রশাসন
এদিকে রাজকোটের গেমিং জোনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩২। এর মধ্যে ৯ শিশুও রয়েছে। হাসপাতালে অনেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যে শীর্ষ আইপিএস আধিকারিক সুবাস ত্রিবেদীর নেতৃত্বে সিট ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেছে। রাজকোটের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের দেহগুলি এমনভাবে পুড়ে গিয়েছে যে তাঁদের শনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে।